বিড়াল পালনের উপকারিতা এবং অপকারিতা

বিড়াল পালনের উপকারিতা এবং অপকারিতা। আপনি কি অনেকদিন ধরে ভাবছেন একটি বিড়াল পালবেন? অথবা আপনার বাড়ি একটি বিড়াল আছে? তবে জানেন না বিড়াল পালনের উপকারিতা এবং অপকারিতা গুলো।উক্ত আর্টিকেলে আমরা জেনে নিব বিড়াল পালনের উপকারিতা এবং অপকারিতার বিস্তারিত।
বিড়াল-পালনের-উপকারিতা-এবং-অপকারিতা
আপনি আর্টিকেলে জানতে পারবেন বিড়াল পালনের উপকারিতা এবং অপকারিতা, আপনার জন্য বিড়াল কতটা উপযোগী, কাদের বিড়াল পালন উচিত এবং কাদের বিড়াল পালন উচিত নয় ইত্যাদি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা। যা আপনার বিড়াল পালনের ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারবে অনেক ক্ষেত্রে। চলুন সময় নষ্ট না করে  জেনে আসা যাক বিড়াল পালনের সবরকম উপকারিতা এবং অপকারিতা গুলো।

পোষ্ট সূচিপত্রঃবিড়াল পালনের উপকারিতা এবং অপকারিতা।

বিড়াল পালনের উপকারিতা এবং অপকারিতা 

বিড়াল পালনের উপকারিতা এবং অপকারিতা। মানুষ স্বভাবগতভাবে পোষ্য প্রানী পছন্দ করে। আর সেটা যদি হয় নরম,শান্ত স্বভাবের সঙ্গপ্রিয় প্রানী তবে তো কথাই নেই।তাই সবসময় মানুষের পোষ্য প্রানীতে বিড়ালই থাকে ফাস্ট চয়েজ।আপনিও হয়ত এই মুহুর্তে একটা বিড়াল পোষার কথা ভাবছেন।দ্বিধায় ভুগছেন পুষবেন? নাকি পুষবেন না? দ্বিধাই ভোগার প্রধান কারন আপনি এখনও বিড়াল পোষার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানেনই না।বিড়াল নরম, সভ্যশান্ত স্বভাবের পোষ্য প্রানী।স্বভাবগত ভাবে এরা মালিক ভিরু হওয়াই, পশু পালনে ইচ্ছুক মানুষের বিড়াল পছন্দের তালিকায় থাকে।

একাকিত্ব দুর করন, স্ট্রেট কমানো, রক্তচাপ এবং হার্ট রেট স্থিতিশীলতাই বিড়াল বেশ ভুমিকা রাখে।এছাড়া বিড়াইল পালকরা বেশ দায়িত্বশীল এবং নিয়মানুবর্তীও হয়ে থাকে।তাই পোষ্য প্রানী হিসাবে কিন্তু বিড়াল দারুন চয়েজ।তবে বিড়াল পালনের রয়েছে বেশ কিছু চ্যালেন্জও।বিড়াল পালনের ক্ষেত্রে অনেক পালককেই সম্মুখীন হতে হয় নানাবিধ চ্যালেন্জের। বিড়ালের মাধ্যামে ছড়াতে পারে বেশ কিছু রোগবালাই,এছাড়া বিড়াল পালন একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং ব্যায়বহুল বিষয়। যা অনেকের জন্যই বেশ চ্যালেন্জিং হয়ে উঠে।তাই অনেকেই বিড়াল পালন থেকে নিজেকে বিরত রাখেন।

বিড়াল কি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী? 

হ্যা, বিড়াল মানসিক স্বাস্থের জন্য বেশ উপকারী প্রানী।বিড়াল পোষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গ্রহনযোগ্য কারন হিসাবে দেখা যায় একাকিত্বতা দূরীকরণ। বিড়াল স্বভাবগতভাবে খুবই মিশুক হওয়াই, এরা খুব সহজে মানুষের বন্ধু হয়ে উঠে।এদের মিষ্টি মিশুক স্বভাব আমাদের উজ্জীবীত করে তোলে।বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যায়, বিড়াল মানুষের স্ট্রেট লেভেল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিপ্রেশন কমাতেও বিড়াল বেশ উপকারী।অন্য এক গবেষনাই দেখা গেছে, যেসকল মানুষ বিড়াল পালন করে তারা অন্য মানুষের তুলনাই সুস্থ জীবনযাপন করে থাকেন।বিড়াল পালনে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর অনেক উপকারী প্রভাব পড়ে। বিড়ালের স্নেহ ও খেলার সঙ্গে সময় কাটানো মনকে শান্ত ও আনন্দময় করে। এটি চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে, একাকীত্ব দূর করে।
নিয়মিত তার যত্ন নেওয়া আমাদের ধৈর্য, সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধ বাড়ায়। এছাড়া, বিড়ালের উপস্থিতি জীবনে সান্ত্বনা ও সুখের অনুভূতি বৃদ্ধি করে।তাই যারা একাকিত্বে ভুগছেন বা নিজের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বেশ বিরক্ত, তারা চাইলে একটি বিড়াল পুষতে পারেন। একটি স্নেহময়, খেলুড়ে, নীরব অথচ উপস্থিতিতে ভরপুর প্রাণী খুব সহজেই আপনার নির্জন সময়গুলো আনন্দে ভরিয়ে তুলতে পারে। বিড়াল আপনার কথা বলতে পারে না ঠিকই, কিন্তু তার নিরব সঙ্গ, আদুরে আচরণ আর আপনাকে অনুসরণ করে ঘোরাফেরা করার অভ্যাস সব মিলিয়ে এটি হয়ে উঠতে পারে আপনার মানসিক প্রশান্তির অন্যতম উৎস।

অনেক সময় আমরা কাজের চাপ, সামাজিক ব্যস্ততা বা মানসিক ক্লান্তির মধ্যে ডুবে থেকে নিজের জীবনকে একঘেয়ে মনে করি। ঠিক এমন সময়ে একটি বিড়াল আপনার দৈনন্দিন জীবনে উষ্ণতা, দায়িত্ববোধ এবং একটু অন্যরকম সুখের অনুভূতি এনে দিতে পারে। নিয়মিত তাকে খাওয়ানো, খেলানো, যত্ন নেওয়া এসবের মধ্যে আপনি খুঁজে পাবেন জীবনের প্রতি নতুন আগ্রহ ও ইতিবাচক মনোভাব।সুতরাং, আপনার একাকিত্ব দূর করতে এবং মানসিক সান্ত্বনা পেতে একটি পোষা বিড়াল সত্যিই দারুণ একটি অপশন হতে পারে।তাহলে কি ভাবছেন পুষবেন নাকি একটি আদুরে ছোট্ট বিড়াল?

বিড়াল পালন স্বভাবগত উন্নতির জন্য কতটা উপকারি? 

বিড়াল পালন কিন্তু মানুষের স্বভাব গত পরিবর্তন আনে ব্যাপক।বিড়াল পালকরা অন্যদের তুলনাই দায়িত্বশীল এবং নিয়মানুবর্তী হয়ে উঠে।দায়িত্বশীলতা বাড়ায়।একটি পোষ্য প্রানী পোষ মানানো বা পোষা মানুষকে তুলনামুলকভাবে বেশি দায়িত্বশীল করে তোলে। আর সেটা যদি হয় বিড়াল, যে সবসময় আপনার আশেপাশে তার বন্ধুত্বসুলভ স্বভাব নিয়ে ঘুরে বেড়াবে তাহলে তা আপনার কেবল দায়িত্বে আবদ্ধ থাকে না আপনার ভালোবাসার কর্তব্যে পরিনত হয়।একটি বিড়ালের খাওয়ানো, পরিচর্যা করা, স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা সবকিছু যখন আপনার দায়িত্বে তখন আপনি অবশ্যই দায়িত্বশীল হয়ে উঠবেন।

এছাড়াও গবেষনাই দেখে গেছে,, মানুষ পোষ্য প্রানী পুষলে অন্য মানুষের তুলনাই বেশি দায়িত্ববান হয়ে উঠে।যা তার সামাজিক,পারিবারিক এবং মানসিক জীবনে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখে।বিড়াল পালন মানুষকে দায়িত্বশীলের পাশাপাশি করে তোলে নিয়মানুবর্তি।বিড়ালের সঠিক সময়ে খাওয়ানো,পরিচর্যা মানুষকে একটি নিদিষ্ট নিয়মের ভিতর আবদ্ধ করে যা তাকে নিয়মাবদ্ধ জীবনযাপনে অভ্যস্ত করে তোলে খুব সহজে।একটি বিড়াল পালনে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় যেমন

সঠিক খাবার: বিড়ালের জন্য সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক ডায়েট চার্ট অনুযায়ী খাবার দেওয়া জরুরি। শুকনো খাবার  দেওয়া ভালো, বিশেষ করে যদি বাইরে কাজ করতে যান তাহলে অবশ্যই শুকনা খাবার ব্যাবহার করতে হবে।বিড়াল যেহেতু নির্বাক প্রানী তাকে সময় মত খাদ্য দেওয়াটা দায়িত্ব। সময় মত একটি বিড়ালকে খাবার দেওয়া,খাবারের দিকে নজর রাখা আপনকে করে তুলবে দায়িত্ববান। খাবার দেওয়া সঠিক নিয়ম আপনায় বানাবে নিয়মানুবর্তী। 

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: বিড়ালের থাকার জায়গা এবং লিটার বক্স সবসময় পরিষ্কার রাখা উচিত। বিড়ালের নিজেদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, যেমন লোম আঁচড়ানো নিশ্চিত করতে হবে।বিড়ালের যত্নে আছে ভালোবাসার ছোঁয়া,তার পরিচ্ছন্নতা শিখায় মনকে করে সজাগ।নিয়ম মেনে খাওয়ানো, গোছানো তার খাট,দায়িত্বশীলতার শিক্ষা দেয় প্রতিটি প্রহরেই হাট।যখন আমরা তার ঘর পরিষ্কার রাখি,নিজেই শিখি স্বচ্ছতা ও যত্নের পাঠ।ছোট ছোট কাজেই তৈরি হয় অভ্যাসের ছাপ,নিয়মানুবর্তিতা হয় জীবনযাত্রার মাধুর্য্যরাপ।প্রতিটি খোঁচা,প্রতিটি পলক, প্রতিটি খেলা,শিখিয়ে যায় দায়িত্ববোধের মধুর মেলা।পরিচ্ছন্ন ঘরে থাকলে থাকে শান্তি ও সুখ,বিড়ালের যত্নে লুকিয়ে আছে ভালোবাসার মূলমুখ।

টিকা ও চিকিৎসা:বিড়ালের বয়স অনুযায়ী প্রয়োজনীয় টিকা দেওয়া এবং নিয়মিত পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া আবশ্যক।বিড়ালের ওজন স্বাভাবিক রাখা প্রয়োজন, এজন্য খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে।বিড়ালের টিকা ও চিকিৎসা নিয়মিত করা মানুষকে দায়িত্ববান এবং নিয়মানুবর্তী হতে শেখায়। যখন আমরা বিড়ালের জন্য সময়মতো ভ্যাকসিনেশন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করি, তখন আমাদের শিখতে হয় দায়িত্বের গুরুত্ব এবং নিয়মিত নজরদারি রাখার অভ্যাস।

বিড়ালের খাবার, পানি, ঘর, স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার খেয়াল রাখা আমাদের সচেতন ও দায়িত্বশীল করে তোলে। সময়মতো টিকা এবং চিকিৎসা দিলে বিড়াল অসুস্থ হয় না, যা আমাদেরকে শিখায় সতর্ক থাকা ও নিয়ম মেনে কাজ করা কত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, রোগ প্রতিরোধে সচেতন থাকা এবং চিকিৎসার জন্য ডাক্তার দেখানো মানুষের মধ্যে ধৈর্য, মনোযোগ এবং সহানুভূতির গুণ বৃদ্ধি করে। এই অভ্যাসগুলো জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও আমাদের দায়িত্বশীল ও নিয়মানুবর্তী বানায়। ছোট ছোট কাজের মধ্যে দায়িত্ব ও নিয়ম মেনে চলার শিক্ষা লুকিয়ে থাকে, যা আমাদের চরিত্রকে দৃঢ় ও সমৃদ্ধ করে।

নিরাপত্তা:বিড়ালকে বাইরে একা ছেড়ে গেলে বা বাড়ির বাইরে গেলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। এটি একটি পশু আইন ভিত্তিক নিয়মও বটে।বিড়ালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা মানুষকে দায়িত্ববান হতে শেখায়। যখন আমরা একটি প্রাণীর যত্ন নেই, তখন তার খাবার, পানি, ঘর, স্বাস্থ্য ও খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হয় নিয়মিতভাবে। এটি আমাদের শিখায় সময়মতো কাজ করার অভ্যাস এবং দায়িত্বের গুরুত্ব বোঝায়।বিড়ালের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমাদের তার আশেপাশের পরিবেশ নিরাপদ রাখতে হয়, যাতে সে আহত বা অসুস্থ না হয়।

তার সঙ্গে মানসিক সংযোগ স্থাপন করতে হলে আমাদের ধৈর্য, সহানুভূতি এবং মনোযোগ প্রদর্শন করতে হয়। নিয়মিত ভ্যাকসিনেশন, পরিচ্ছন্নতা, এবং পর্যাপ্ত খেলাধুলার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে আমরা তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। এই সব কাজ আমাদের মানবিকতা ও দায়িত্ববোধকে বাড়ায়। ছোট ছোট কাজের মধ্যে দায়িত্বের শিক্ষা লুকিয়ে থাকে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সুশৃঙ্খল ও যত্নশীল করে তোলে। বিড়ালের সুরক্ষা আমাদের শেখায় যে, দায়িত্বশীল মনোভাব শুধু প্রাণীর জন্য নয়, আমাদের নিজের চরিত্র গঠনের জন্যও অপরিহার্য।

বিড়াল শিশুদের জন্য কতটা উপকারী?

অনেকেই ভয় পান বাসাই শিশু আছে আমি কি একটা বিড়াল বাসাই রাখব? আপনি জেনে অবাক হবেন, বিড়াল শিশুদের জন্য খুবই উপকারী একটি প্রাণী। এটি শিশুদের সঙ্গী হিসেবে থাকা মানসিক ও আবেগীয় উন্নয়নে সাহায্য করে। শিশুরা যখন বিড়ালের সাথে খেলে, তখন তাদের দেহে আনন্দের হরমোন নিঃসৃত হয়, যা স্ট্রেস কমাতে এবং মানসিক স্বস্তি দিতে সাহায্য করে। এছাড়া, বিড়ালের প্রতি যত্নশীল হওয়ার মাধ্যমে শিশু দায়িত্বশীলতা ও সহানুভূতির শিক্ষা নেয়। শিশুরা যে বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটায়, তা তাদের সামাজিক দক্ষতা ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। অনেক ক্ষেত্রে, পোষ্য বিড়াল শিশুদের একাকীত্ব দূর করতে এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। তাই শিশুদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশে বিড়াল একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু হতে পারে।
শিশুদের জন্য বিড়াল পালনের উপকারিতাও বেশ চোখে পরার মত। বিড়ালে পালন করলে শিশুদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশ ঘটে, যেমন- সহানুভূতি, দায়িত্ববোধ ও মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। বিড়ালের সান্নিধ্য মানসিক চাপ ও একাকীত্ব কমায়।কিছু গবেষণায় দেখা গেছে এটি শিশুদের অ্যালার্জি ও অ্যাজমার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে।শিশুরা অধিক সহনশীল হয়ে উঠে এবং সবসময় প্রফুল্ল থাকে। যা শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তাই অনেক ডাক্তার বাসাই লোকসংখ্যা কম থাকলে পোষ্য প্রানী বা বিড়াল পালনে উৎসাহিত করে থাকেন।অনেকেই মনে করেন বিড়াল শিশুদের জন্য উত্তম সঙ্গি।আপনার শিশুর সঙ্গি হিসাবোও আপনি একটু নম্র, ভদ্র, মিষ্টি  বন্ধু সুলভ বিড়াল পছন্দ করতেই পারেন নিসন্দেহে।

বিড়াল পালন সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?

ইসলামে বিড়াল পালন সাধারণভাবে অনুমোদিত এবং এতে কোনো অপবাদ নেই। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) নিজে প্রাণীর প্রতি কোমলতা প্রদর্শন করতেন এবং হাদিসে দেখা যায় যে, বিড়ালের প্রতি সদয় হওয়াকে প্রশংসিত কাজ বলা হয়েছে। তবে বিড়াল পালন করার সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে প্রার্থনা বা নামাজের স্থানের জন্য। শিশুদের মতো, পোষ্য প্রাণীর প্রতি দয়া ও যত্ন দেখানো মানুষকে সহানুভূতিশীল এবং দায়িত্বশীল হতে সাহায্য করে। তাই ইসলামে বিড়ালকে ভালোবাসা ও যত্নসহকারে পালন করা একটি পুণ্য কাজ হিসেবে গণ্য হয়।
বিড়াল-পালনের-উপকারিতা-এবং-অপকারিতা
ইসলামে এর উপকারিতাই ও বর্ণনা করা হয়েছে।ইসলামে বিড়াল পালনের উপকারিতা হলো এর পবিত্রতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব।ধর্মীয়ভাবে বিড়াল পোষার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সুপ্রাচীন কালে। ইসলামে বিড়ালকে একটি সম্মানিত ও পবিত্র প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এদেরকে যত্নসহকারে লালন-পালন করার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে, কারণ এটি আল্লাহ কর্তৃক মানুষের উপকারের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।  

বিড়াল কি বিনোদনের উৎস হতে পারে?

পোষ্য প্রানী মাত্রই বিনোদনের বিরাট উৎস হিসাবে।আর সেটা যদি হয় বিড়ালের মত মিশুক প্রানী তবে তো কথাই নেই।বিড়াল বিনোদনের একটি মজাদার উৎস।বিড়াল মানুষের সাথে খুব সহজে মিশে যেতে পারে, এছাড়া বিড়াল পালকের সাথে খেলতে, সঙ্গ দিতে এবং সময় কাটাতে ভালোবাসে। যা পালকদের আলাদা মানসিক শান্তি দেই।সময় কাটানোর মাধ্যম হয়ে উঠে সহজে।এছাড়াও বিড়ালের স্বতন্ত্র স্বভাব এবং আচরন পালকদের খুব সহজে মন ভালো করে এবং দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি দুর করে। তাই আপনার বিনোদনের উৎস হিসাবে আপনিও আপনার দৈনন্দিন জীবনে বিড়ালকে রাখতেই পারেন।বিড়ালের সঙ্গে মানুষের দেহে অক্সিটোসিন নিঃসৃত হয়, যা পালকদের মন ভালো রাখতে ব্যাপক ভুমিকা রাখে।

আরও একটি দারুণ দিক হলো বিড়াল এমন এক পোষ্য প্রাণী যাকে পালতে খুব বেশি পরিশ্রম বা সারাক্ষণ নজরদারিও প্রয়োজন হয় না। তারা নিজেদের মতো সময় কাটাতে জানে, আবার প্রয়োজন হলে আপনার কাছে এসে আদর চাইবেই। দিনের ব্যস্ততা শেষে যখন ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘরে ফিরবেন, তখন দরজার কাছে এসে ওদের মিউমিউ করে স্বাগত জানানো মুহূর্তটুকু আপনার সারাদিনের ক্লান্তিকে মুহূর্তেই ভুলিয়ে দিতে পারে। ছোট ছোট মজার দৌড়ঝাঁপ, খেলায় মাতিয়ে তোলা, কিংবা স্রেফ আপনার পাশে কুণ্ডলী পাকিয়ে ঘুমিয়ে থাকা এসবই আপনাকে মানসিকভাবে শান্ত করে এবং ঘরের পরিবেশকে প্রাণবন্ত করে তোলে।

বিড়াল পালনে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কতটুকু?

বিড়াল সচারচার আমরা সকলেই পছন্দ করি।পালনও পছন্দ করি।তবে অনেকেই বিড়াল পালনের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে অবগত নই।বিড়াল পালন যেমন  মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি, তবে এর কিন্তু  রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকিও। যদিও বিড়াল যথেষ্ট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন প্রানী, তবুও এদের দ্বারা বেশ কিছু রোগ হতে পারে। যেমন

সংক্রমণ: বিড়ালের লালা বা আঁচড়ের মাধ্যমে Capnocytophaga ব্যাকটেরিয়ার মতো জীবাণু ছড়াতে পারে, যা জ্বর, ডায়রিয়া, বা মারাত্মক কিডনি ফেইলিওরের কারণ হতে পারে।যা যথেষ্ট বিপদজনকও বটে। বিড়ালের নখ দিয়ে আঁচড়ে দিলে Cat Scratch Disease (CSD), টিটেনাস, বা অন্যান্য ফাঙ্গাল এবং ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হতে পারে।তাই অনেকেই বিড়াল পালন এড়িয়ে চলেন।

মানসিক স্বাস্থ্য: গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিড়াল পোষার সঙ্গে সিজোফ্রেনিয়ার মতো মানসিক রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারেএটি বিড়ালের শরীরের এক প্রকার পরজীবীর কারণে হতে পারে যা মানুষের মস্তিষ্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।সিজোফ্রেনিয়া একধরনের মানসিক ব্যাধি যা মানুষের চিন্তা ভাবনা, আচরন, অনুভুতি এমনকি বাস্তবতার উপলব্ধিকেও প্রভাবিত করে।এ রোগে হ্যালুসিনেশন, বিভ্রমের মত সমস্যা দেখা দেই।
এল্যার্জি: বিড়ালের লোম বা লালার প্রোটিন অনেকের জন্য এলার্জির কারণ হতে পারে। বিড়াল পালনে এ সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।বিশেষত শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি প্রকাশ পায়।এ্যাজমার রুগিদের জন্য এটি হতে পারে ভয়ানক।তাই এ্যাজমার রুগিরা সাধারনত বিড়াল পালন এড়িয়ে চলেন।শিশুদের এবং এ্যাজমার রুগিদের বিড়াল হতে সাবধানে থাকাই উত্তম। তাই অনেকেই বিড়াল পালনকে বেশ এড়িয়ে চলেন এবং অপকারী হিসাবে বিবেচনা করেন।

তাই বিড়াল পালনের ক্ষেত্রে উক্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখা একান্ত জরুরি। শুধুমাত্র অনুভূতির বশে একটি পোষা প্রাণী ঘরে আনা দায়িত্বশীলতার পরিচয় নয় এর জন্য প্রয়োজন পূর্বপরিকল্পনা, সময়, অর্থ এবং নিয়মিত পরিচর্যার মানসিক প্রস্তুতি। আপনি যদি একটি বিড়াল পালনে ইচ্ছুক হন, তবে অবশ্যই প্রতিদিনের যত্ন, চিকিৎসা ব্যয়, খাবার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার মতো বিষয়গুলো নিয়ে গভীরভাবে পর্যালোচনা এবং বিবেচনা করতে হবে।

বিড়াল পালন কি ব্যায়বহুল?

হ্যা বিড়াল পালন বেশ ব্যায়বহুল একটি বিষয়।অনেকেই বহুলব্যায়ের কারনে শখ থাকা সত্ত্বেও বিড়াল পালন হতে বিরত থাকেন। বিড়ালের ব্যয়বহুল পরিচর্যার মধ্যে রয়েছে নিয়মিত ভেটেরিনারি চিকিৎসা, যেমন টিকা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা, উন্নতমানের খাবার, নিয়মিত গ্রুমিং, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধির মতো খরচগুলো। এছাড়া, বিড়ালের জন্য খেলনা, আরামদায়ক বিছানা, এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্রও একটি বড় খরচের কারণ হতে পারে। 

বিড়াল পালনে অবশ্যই চিকিৎসা, টিকা, স্বাস্থ্য পরিক্ষা,গ্রুমিংয়ে নজর রাখতে হয় নিয়মিত।বিড়ালের সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিরাপদ পরিবেশ এবং মানসিক উদ্দীপনাও রক্ষা করা জরুরি, না হলে তাদের আচরণগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া বাড়িতে থাকা ছোট শিশু বা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মানুষদের জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা প্রয়োজন। এসব বিষয় বিবেচনা করলে বোঝা যায় একটি পোষা বিড়ালের দায়িত্বশীল যত্ন নেওয়া শুধু ভালোবাসার বিষয় নয়, বরং একটি নিয়মিত ও ব্যয়বহুল প্রতিশ্রুতি।

বিড়াল পালন কেন দীর্ঘমেয়াদি দায়িত্ব হিসাবে বিবেচনা করা হয়? 

বিড়াল সাধারণত ১৫ থেকে ২০ বছর বা তার বেশি সময় বাঁচতে পারে, তাই এর প্রতি যত্ন নেওয়া একটি দীর্ঘ সময়ের প্রতিশ্রুতি।একটি বিড়ালকে আপনি কয়েকদিনের শখ হিসাবে পালতে পারবেন না।তার যত্ন আপনার দায়িত্ব।তাছাড়াও একটি বিড়াল হয়ে উঠবে আপনার পরিবারের সদস্য।তাই দায়িত্ব পালন হতে আপনি বিমুখ হতে পারবেন না।এছাড়া আপনি যদি ভ্রমন পিপাসু হন তাহলে বিড়াল হতে পারে আপনার জন্য একটি বারতি ঝামেলা। আপনি বিড়ালটিকে হটাৎ ফেলে যেতে পারবেন না।সাথে নেওয়াও সবসময় সম্ভব হয়না। 
বিড়াল-পালনের-উপকারিতা-এবং-অপকারিতা
এছাড়া বিড়াল একটি দীর্ঘমেয়াদী দায়িত্ব কারণ এদের জন্য খাদ্য, চিকিৎসা, এবং একটি পরিষ্কার ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হয় এবং এরা দীর্ঘ বছর বাঁচে। বিড়াল পোষার আগে এই দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতির জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত, কারণ এরা পরিবারের একজন সদস্য হয়ে ওঠে এবং নির্ভরতা তৈরি করে। তাই অবশ্যই বিড়াল পালনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে  অবশ্যই মনে রাখবেন বিড়াল আপনার দয়িত্ব, আপনি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত তো? যদি প্রস্তুত না হন তাহলে বিড়াল পালন হতে বিরত থাকাই ভালো। তবে যদি দায়িত্বে সমস্যা না থাকে, তাহলে বিড়ালই পোষা যেতেই পারে।

বিড়াল কি গৃহস্থালি ক্ষতি করে? 

বিড়াল স্বভাবগতভাবে বেশ চঞ্চল। এদের বেশ সুচালো নখ থাকাই অনেক সময়ই দেখা যায় এরা আসবাবপত্র, কার্পেট এবং অন্যান্য জিনিসের বেশ ক্ষয়ক্ষতি করে থাকে। বিড়াল গৃহস্থালিতে কখনও কখনও ক্ষতি করতে পারে, যা বেশিরভাগ সময় তার স্বাভাবিক আচরণ থেকে উদ্ভূত হয়। স্বভাবগতভাবে জায়গা চিহ্নিত করা, নখ ধারালো রাখা, লাফালাফি করা বা খেলার ছলে কামড়ানো এই প্রাকৃতিক আচরণগুলো থেকেই অনেক সময় অপ্রত্যাশিত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এছাড়া একঘেয়েমি, পর্যাপ্ত খেলাধুলার অভাব বা মানসিক উত্তেজনাও বিড়ালকে অতিরিক্ত চঞ্চল ও ধ্বংসাত্মক করে তুলতে পারে। যথাযথ প্রশিক্ষণ, স্ক্র্যাচিং পোস্ট সরবরাহ এবং নিয়মিত খেলাধুলার মাধ্যমে এসব সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
বিড়ালের নখ চেপে কাঠ বা সোফার কাপড় চিরে ফেলতে পারে। এটি তাদের চুলার স্বাভাবিক আচার বা নখ তীক্ষ্ণ রাখার প্রবণতা।ঘরের বৈদ্যুতিক তার বা ছোট ছোট জিনিসপত্র বিড়াল খেলা বা ঘষা-মাজার সময় নষ্ট করতে পারে।খাবারের প্রতি আকর্ষণ থাকা ও কৌতূহল তাদের রান্নাঘরে ঢুকতে বা খাবার চুরির চেষ্টা করতে পারে।কাগজ, পত্রিকা, বই বা নোটবই বিড়ালের খেলা করার বা চেপে ধরা স্বভাবের কারণে নষ্ট হতে পারে।চলাফেরা বা লাফানো সময় fragile জিনিসপত্র পড়ে ভেঙে যেতে পারে।এছাড়া বিড়াল চঞ্চলতা প্রিয় হওয়াই প্রায়শই জিনিস পত্র ভাঙতে পারে। তাই অনেকেই বাড়িতে বিড়াল রাখা পছন্দ করেন না।আপনি কি পছন্দ করেন?

বাড়ি অন্তঃসত্ত্বা নারী থাকলে বিড়াল পালন উচিত নয় কেন?

বিড়াল বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন প্রানী হলেও এদের মাধ্যমে বেশ কিছু রোগ বালাই ছড়াতে পারে।এরই মাঝে একটি হলল টুক্রো প্লাজমা সিসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা। বিড়ালের মাধ্যমে টক্সোপ্লাজমোসিস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে, যা অন্তঃসত্ত্বা মহিলার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এই সময়ে বিড়াল পালা ঝুঁকিপূর্ণ।তাই বাসাই অন্তঃসত্ত্বা নারী থাকলে বিড়াল পালন করা থেকে অনেকেই বিরত থাকেন।অনেক ডাক্তারও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের বিড়াল পালন,আদর, কাছে রাখা, কাছে নিয়ে ঘুমাতে বারন করে থাকেন।আপনি বিষয়টা কতটা যৌতিক বলে মনে করেন? আপনার মতে কি একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর বিড়াল পালন যৌতিক?

অন্তঃসত্ত্বা নারীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভালো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করাযেমন বিড়ালের লিটারবক্স নিজে পরিষ্কার না করা, প্রয়োজনে গ্লাভস ব্যবহার করা, বাগান বা মাটি স্পর্শের পর ভালো করে হাত ধোয়া, এবং কাঁচা মাংস ভালোভাবে রান্না করা। অনেক ডাক্তার স্বভাবতই  অতিরিক্ত সাবধানতার  নীতি মেনে ঝুঁকি এড়াতে বিড়াল থেকে দূরে থাকতে পরামর্শ দেন, কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী সঠিক নিয়ম মেনে চললে স্রেফ বিড়াল থাকা নিজে থেকেই বিপজ্জনক নয়। তাই অন্তঃসত্ত্বা নারী চাইলে নিশ্চিন্তেই বিড়াল পালন করতে পারেন শুধু পরিচ্ছন্নতা ও সতর্কতার নিয়মগুলো মেনে চলা জরুরি।

কাদের বিড়াল পালন উচিত নয়?

অনেকেই ভাবেন বিড়াল পালাবেন।তবে আপনার যদি নিম্নোক্ত সমস্যাগুলো থেকে থাকে তবে আপনি বিড়াল পালন হতে বিরত থাকুন।বিড়ালের উপকারি দিকগুলোর সাথে বিড়ালের ক্ষতিকর দিকগুলোও যথার্থ ভাবে প্রযোজ্য। তাই একটি বিড়াল পালনে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। নাহলে আপনার সামান্য শখ হতেই পারে আপনার দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার কারন।তাই অবশ্যই  আপনাকে সঠিক ডিসিশান নিতে হবে আপনি একটি বিড়াল পালনে স্বয়ংসম্পূর্ণ কিনা? 

যদি পরিবারের কোনো সদস্যের বিড়ালের লোম বা লালার প্রতি অ্যালার্জি থাকে, তবে বিড়াল পালা উচিত নয়। এটি হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে বিড়ালকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া এবং যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। যারা সারাদিন কাজের চাপে থাকেন, তাদের জন্য বিড়াল পালা উচিত নয়। ছোট বাচ্চাদের সাথে বিড়ালকে রাখলে সমস্যা হতে পারে। বিড়ালকে তত্ত্বাবধান ছাড়া বাচ্চাদের কাছে একা রাখা উচিত নয় এবং বাচ্চাদের বিড়ালের সাথে কীভাবে আচরণ করতে হয় তা শেখানো দরকার।বিড়ালের খাবার, চিকিৎসা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য আর্থিক ব্যয় করতে হবে। যারা এর জন্য প্রস্তুত নন তাদের বিড়াল পালা উচিত নয়। যারা বিড়ালের প্রতি যত্নশীল নন, যেমন তাদের খাওয়ানো বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, তাদের বিড়াল পালনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত। 

বিড়াল পালনের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে শেষ কথা 

বিড়াল পালনের যেমন  রয়েছে বেশ কিছু উপকারিতা , এর রয়েছে বেশ কিছু অপকারিতাও।বিড়াল পালন শিশু ও পরিবারের জন্য অনেক ধরনের উপকার নিয়ে আসে। এটি মানসিক শান্তি, সঙ্গীতা এবং দায়িত্ববোধ শেখায়, পাশাপাশি শিশুর মধ্যে সহানুভূতি ও সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি করে। তবে যত্নের অভাব, অসুস্থ বিড়াল বা সঠিক পরিচ্ছন্নতা না রাখলে স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। তাই বিড়াল পালন করলে যত্ন, পরিচ্ছন্নতা ও দায়িত্ববোধ বজায় রাখা জরুরি। সঠিকভাবে পালন করলে বিড়াল কেবল একটি প্রাণী নয়, বরং পরিবারের সদস্য হয়ে শিশু ও বড়দের জীবনে সুখ এবং শিক্ষার উৎস হতে পারে।

বিড়াল পালন যেমন আনন্দ, শান্তি ও সঙ্গ দেয় তেমনি কিছু দায়িত্বও বয়ে আনে।আপনি যদি সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারেন, তাহলে বিড়াল আপনার পরিবারের এক আদুরে সদস্য হয়ে উঠবে।তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই বিবেচনা করা জরুরি। তাই বিড়াল পালন বা বিড়াল পালন শুরু করার ক্ষেত্রে উক্ত বিষয় গুলো মাথাই রাখা অতন্ত্য জরুরি। বিড়াল পালনের উপকারিতা এবং অপকারিতা গুলো জানার পর আপনার মতামত কি? আপনি কি একটি বিড়াল পালন করতে চান?
আর  আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনি নিবোর্ন সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url