লক ডাউনের ভালোবাসা থেকে অশ্রুর গল্প
লক ডাউনের ভালোবাসা থেকে অশ্রুর গল্প:-
করোনা ভাইরাসের সময়, যখন চারপাশে ভয় আর অনিশ্চয়তা, তখনই শুরু হয়েছিল আমাদের গল্প। আমি মিষ্টি, আর আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে গিয়েছিল—সিরাজ।
লকডাউনের ভালোবাসা থেকে অশ্রুর গল্প
করোনা ভাইরাসের সময়, যখন চারপাশে ভয় আর অনিশ্চয়তা, তখনই শুরু হয়েছিল আমাদের গল্প। আমি মিষ্টি, আর আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে গিয়েছিল—সিরাজ।
আমরা পড়তাম একই মাদ্রাসায়। শুরুটা ছিল একেবারেই সাধারণ—বন্ধুত্ব। প্রতিদিন ক্লাসে দেখা হতো, পড়ালেখার আড্ডা হতো, আর হাসি-ঠাট্টার মধ্যেই কেটে যেত সময়। কিন্তু হঠাৎ করেই করোনা ভাইরাস চলে আসলো । স্কুল-মাদ্রাসা সব বন্ধ হয়ে গেল, আর সিরাজ ঢাকায় চলে গেল কাজের জন্য।
তবুও যোগাযোগ থামেনি। ফোনে কথা, মেসেজে আড্ডা—ধীরে ধীরে একে অপরের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠলাম আমরা। তারপর একদিন, ২০২২ সালের ৬ মার্চ রাত ৯টায়, হঠাৎ সিরাজ আমাকে প্রপোজ করল। কী যে হয়েছিল সেদিন, আমিও না বলতে পারিনি। রাজি হয়ে গেলাম, আর সেদিন থেকেই আমাদের সম্পর্কের নতুন যাত্রা শুরু হলো।
রোমান্টিক কথোপকথনের মাধ্যমে আমরা একে অপরের আরও কাছাকাছি আসতে লাগলাম। দেখা করার ইচ্ছা জাগলেও দূরত্ব ছিল বাধা। অবশেষে একদিন, আমার বান্ধবী তানিয়ার বাসায় প্রথম দেখা হলো আমাদের। সেদিনটা আজও ভুলতে পারিনি। এরপর মাঝেমধ্যে ক্লাসে, এমনকি SSC পরীক্ষার সময়ও দেখা হতো।
কিন্তু সুখের দিনগুলো বেশি দিন স্থায়ী হলো না। পরীক্ষার পর সিরাজ আবার ঢাকায় চলে গেল। ব্যস্ত হয়ে পড়ল, আর চার মাস ফোনও ছিল না তার হাতে। কষ্টে কেটে গেল দিনগুলো। ফোন এলে আবার কথাবার্তা শুরু হলেও আগের মতো নিয়মিত আর ছিল না।
১৩/০৭/২০২৩, দিনটা যেন আমার জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার দিন। এই দিনে ঝড়ের মতো আমার জীবনে এল অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত। বাড়ি থেকে জোর করে বিয়ে ঠিক করে ফেলা হলো অন্য এক ছেলের সাথে। সকালে সিরাজের সাথে কথা বলছিলাম, আর সন্ধ্যায় হলো আমার বিয়ে। আমি রাজি ছিলাম না, অনেক চেষ্টা করেও থামাতে পারিনি। শপথ-কসম কাটানো সত্ত্বেও আমার হাতে আর কিছুই ছিল না।
সেদিন থেকেই শুরু হলো আমার কষ্টের অধ্যায়—যেখানে ভালোবাসা রয়ে গেল অসমাপ্ত, আর আমি বেঁচে থাকলাম শুধু স্মৃতির ভেতর।
আমরা পড়তাম একই মাদ্রাসায়। শুরুটা ছিল একেবারেই সাধারণ—বন্ধুত্ব। প্রতিদিন ক্লাসে দেখা হতো, পড়ালেখার আড্ডা হতো, আর হাসি-ঠাট্টার মধ্যেই কেটে যেত সময়। কিন্তু হঠাৎ করেই করোনা ভাইরাস চলে আসলো । স্কুল-মাদ্রাসা সব বন্ধ হয়ে গেল, আর সিরাজ ঢাকায় চলে গেল কাজের জন্য।
তবুও যোগাযোগ থামেনি। ফোনে কথা, মেসেজে আড্ডা—ধীরে ধীরে একে অপরের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠলাম আমরা। তারপর একদিন, ২০২২ সালের ৬ মার্চ রাত ৯টায়, হঠাৎ সিরাজ আমাকে প্রপোজ করল। কী যে হয়েছিল সেদিন, আমিও না বলতে পারিনি। রাজি হয়ে গেলাম, আর সেদিন থেকেই আমাদের সম্পর্কের নতুন যাত্রা শুরু হলো।
রোমান্টিক কথোপকথনের মাধ্যমে আমরা একে অপরের আরও কাছাকাছি আসতে লাগলাম। দেখা করার ইচ্ছা জাগলেও দূরত্ব ছিল বাধা। অবশেষে একদিন, আমার বান্ধবী তানিয়ার বাসায় প্রথম দেখা হলো আমাদের। সেদিনটা আজও ভুলতে পারিনি। এরপর মাঝেমধ্যে ক্লাসে, এমনকি SSC পরীক্ষার সময়ও দেখা হতো।
কিন্তু সুখের দিনগুলো বেশি দিন স্থায়ী হলো না। পরীক্ষার পর সিরাজ আবার ঢাকায় চলে গেল। ব্যস্ত হয়ে পড়ল, আর চার মাস ফোনও ছিল না তার হাতে। কষ্টে কেটে গেল দিনগুলো। ফোন এলে আবার কথাবার্তা শুরু হলেও আগের মতো নিয়মিত আর ছিল না।
১৩/০৭/২০২৩, দিনটা যেন আমার জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার দিন। এই দিনে ঝড়ের মতো আমার জীবনে এল অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত। বাড়ি থেকে জোর করে বিয়ে ঠিক করে ফেলা হলো অন্য এক ছেলের সাথে। সকালে সিরাজের সাথে কথা বলছিলাম, আর সন্ধ্যায় হলো আমার বিয়ে। আমি রাজি ছিলাম না, অনেক চেষ্টা করেও থামাতে পারিনি। শপথ-কসম কাটানো সত্ত্বেও আমার হাতে আর কিছুই ছিল না। সেদিন থেকেই শুরু হলো আমার কষ্টের অধ্যায়—যেখানে ভালোবাসা রয়ে গেল অসমাপ্ত, আর আমি বেঁচে থাকলাম শুধু স্মৃতির ভেতর।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url