এক ভালোবাসার রঙিন অধ্যায়
অনিক ও তানিয়ার এক ভালোবাসার রঙিন অধ্যায়:-
পলাশবাড়ী মাদ্রাসার সবুজ আঙিনায় প্রতিদিন ছেলেমেয়েরা আসত পড়তে। সেই আঙিনায়ই একদিন দেখা হয় অনিক ও তানিয়ার।
তানিয়া তখন নবম শ্রেণীতে পড়ে চোখে-মুখে একধরনের সরলতা আর মিষ্টি হাসি। অনিক তখন দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র পড়ে গাংগুরিয়া কলেজে কিন্তু মাদ্রাসায় আসত তার ছোট ভাইকে আনার জন্য।
প্রথমবার তানিয়াকে দেখে অনিকের মনে হয়েছিল এমন মেয়েকে আগে কোথাও দেখিনি।
অন্যদিকে তানিয়াও চুপিচুপি অনিককে দেখত লাজুক চোখে। কিন্তু কেউ কাউকে কিছু বলত না।
ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা
দিন যায় মাস পেরোয়। ওরা প্রতিদিন দেখা করত মাদ্রাসার গেটে কোনো কথা না বলেও চোখে চোখে কথাবার্তা চলত।
তানিয়া বুঝতে পারত অনিক তাকে পছন্দ করে। অনিকও টের পেত এই মেয়েটা যেন একটু বেশি স্পেশাল। কিন্তু বলার সাহস কারোরই হচ্ছিল না।
ভালোবাসার প্রস্তাব
৫ আগস্ট, ২০২৫। আকাশে ছিল হালকা মেঘ মনটা ছিল অদ্ভুত উত্তেজনায় ভরা।
সেদিন অনিক সাহস করে তানিয়াকে বলল তানিয়া তোমাকে আমি অনেক দিন ধরে পছন্দ করি। তুমি কি আমার জীবনসঙ্গী হতে পারো তানিয়া একটু লজ্জা পেলেও মুচকি হেসে বলল আমি তো অনেক আগেই তোমাকে পছন্দ করি অনিক শুধু বলার সাহস হয়নি। ওই মুহূর্তে যেন পুরো দুনিয়াটা থেমে গিয়েছিল তাদের জন্য। চারপাশে ছিল শুধু ভালোবাসা, বিশ্বাস আর স্বপ্ন।
প্রেমের দিনগুলো
তাদের প্রেম যেন এক রঙিন গল্প কখনো বিকেলের হালকা রোদে হাঁটা কখনো বইয়ের পাতায় চিঠি লুকানো আবার কখনো ফোনে রাতভর গল্প।
তানিয়া প্রতিদিন অনিকের জন্য দোয়া করত, আর অনিক স্বপ্ন দেখত তানিয়াকে একদিন বউ করে ঘরে তুলবে। ওরা কষ্ট মিথ্যা দূরত্ব কিছু চায় না। শুধু চায় সত্যিকারের ভালোবাসা আর একসাথে থাকা।
ভবিষ্যতের স্বপ্ন
তারা দুজনেই এখন পড়াশোনায় মনোযোগী। কারণ ওদের লক্ষ্য একটাই নিজেদের গড়ে তুলে ভবিষ্যতে একসাথে একটা সুন্দর জীবন গড়া।
ওরা বিশ্বাস করে একদিন এই ভালোবাসার গল্প বিয়েতে গিয়ে শেষ হবে না নতুন করে শুরু হবে একটা জীবনের।
শেষ কথা:
এই গল্প কষ্টের নয় এটা প্রেমের একটা শান্ত সুন্দর রূপ যেখানে ভালোবাসা মানে বিশ্বাস সম্মান আর ভবিষ্যতের স্বপ্ন।
পলাশবাড়ীর সেই মাদ্রাসা থেকে শুরু হওয়া ভালোবাসা একদিন বিয়ের আসরে গিয়ে চিরস্থায়ী হবে এই প্রার্থনায় অনিক তানিয়া পথ চলে যাচ্ছে হাতে হাত রেখে।
aye masa allah......
allah apnader valobasar purnota dankoruk amin........
amin