এক তরুণের অসমাপ্ত প্রেম কাহিনি (পার্ট ৭ )
আকাশ ছোয়া ভালোবাসা ( যারা পার্ট ৬ দেখেন নাই এখনো তারা দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন )
২৪-০৬-২০২২ইং তারিখে রাত ১১টার সময় কেয়ার আব্বুর নম্বর থেকে ফোন আসলো রিসিভ করলাম, কেয়া বলল, ফোনটা ব্যাক করো, আমরা দুই জন প্রাই ৭০ মিনিট কথ বললাম, আমি তার উপর অযথা রাগ করেছি, সেদিন সে আমাকে এড়িয়ে গেছিলো কারণ তার বোন তার মামাতো বোন পড়তো তার সাথে স্কুল আসার সময় তার সাথে আসতো আবার যাওয়ার সময় থাকতো সব সময় তাকে নজরে রাখছিলো, তাই সে আমাকে এড়িয়ে চলে যায়, সে বাসায় গিয়ে সেই দিন অনেক কান্না করেছে।
আসলে সে আমাকে অনেক ভালোবাসে আমি মাঝে মাঝে তাকে ভুল বুঝি আগে যখন আমরা কথা বলতাম তখন প্রতিদিন আমি রাগারাগি করতাম একদিন সে আফসোস করে বলেছিল, আজকে সারাদিন ভেবেছি তোমার সাথে কথা বলবো ভালোভাবে, আবার তুমি ঝগড়া শুরু করে দিলে কান্না করে দিয়েছিল।
সেই দিন কথা শেষ করে আমরা দুই জন ঘুমিয়ে গেলাম আবার দুইদিন পর ২৬-০৬-২০২২ইং ফোন দেয় একই টাইমে, তার বাবার ফোন চুরি করে তার রুমে নিয়ে এসে সে আমাকে ফোন দিয়েছিল। সেদিন ৯৪ মিনিট কথ বললাম সেই দিন আমরা দুইজন অনেক খুশি ছিলাম। কেয়া আমাকে বলেছিল সেদিন আমাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবে ना।
আমি তারপর প্রত্যেকটা রাত অপেক্ষা করতাম কিন্তু কেয়া ফোন দিতো না, একদিন কেয়ার ভাবী আমাকে ফোন দেয় ইমুতে। প্রায় ২৫-৩০ তারিখের ভিতর কোন দিন মনে পড়ছে না, কেয়ার ভাবী আমাকে বলল, কেয়াকে ভুলে যেতে আমি মুচকি হাসি দিয়ে বললাম ঠিক আছে।
আমার অফিসের একটা অনুষ্ঠান ছিলো ২ তারিখে সবাই আনন্দ করছে কিন্তু আমার আনন্দ করার ইচ্ছে করছে না। এভাবেই দিন কাটছে ১০-০৭-২০২২ইং কুরবানির ঈদ আমি ০৭-০৭-২০২২ইং তারিখে বাসায় রওনা দিলাম, আমি ভেবে ছিলাম কেয়া আমাকে ফোন দিবেনা। ঈদের দিন সকালে গোসল করে ৬.৪৫ রওনা দিলাম। নামায শেষে বাসায় আসার পর ফোন দেখলাম একটা নম্বর থেকে ৭.০৪ এ তিনবার ফোন দিয়েছে আর একটা ম্যাসেজ দিয়েছে, ঈদ মোবারক লিখে, আমি ১০টার পর ফোন দিলাম সে পরিচয় দিলনা, আমি কিছু বললাম না, দুপুরের পর ম্যাসেজ আসলো ঐ নম্বার থেকে বলল, আমি কেয়া।
রাতে ঐ নম্বর থেকে ফোন আসলো রিসিভ করলাম তার ভাবী পরিচয় দিলো, কথা বললাম কেয়ার সাথেও কথা হলো, ঈদের পরের দিন দেখা করতে ডাকলো। সেই দিন ছিল, ১১-০৭-২০২২ইং সকালে রওনা দিলাম। আমরা তিন জন গেলাম যেখানে দেখা করার কথা ছিল সেখানে সে আসলনা। আমার মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেল, সে জায়গা থেকে চলে আসলাম।
আমরা তিনজন সোনা মসজিদ চলে গেলাম ঘুরতে যাতে মনটা একটু ভালো হয়। দুপুরের সময় কেয়া ফোন দিলো বলল, আপুর জন্য যাইতে পারিনি। আমি তার জন্য কিছু গিফট আর ক্যাডবেরি চকলেট নিয়েছিলাম, তাকে বললাম তোমার বাসার পাশের দোকানে রেখে দিবো তুমি নিয়ে নিবে।
সোনা মসজিদ থেকে রওনা দিলাম মাগরীবের সময় আমি যখন কলনিতে চলে এসেছি, সে তখন আমাকে ফোন দেয় বলে, আমি রাস্তার দাড়িয়ে আছি তুমি কত দূরে। আমি বললাম একটা গাড়ি যাবে রেডি থাকো। গেলাম দোকানে ব্যাগটা দিলাম আবার ফেরত চলে আসলাম, কেয়া তার বাড়ির সামনে দাড়িয়ে ছিল, তাকে বললাম থাকো চলে গেলাম। সে বলল, ঠিক আছে যাও, আর বললাম সকালে ব্যাগটা নিয়ে আসিও, তারপর কেয়ার সাথে আর কথা হয়নি, এভাবে আমার দিন কাটছে ১৭ তারিখে তার কথা বেশি মনে হলো, আমি কান্না করে দিলাম
এভাবেই কষ্টে দিন কাটছে হঠাৎ ০৫-০৮-২০২২ইং রাতে একটা নম্বর থেকে ফোন আসে, সে পরিচয় দিলোনা, আমি তার কণ্ঠ শুনে বুঝলাম সে কেয়া, এক পর্যায়ে সে ধরা দিল এবং বলল, তার বিয়ে হয়ে গেছে।
এক তরুণের অসমাপ্ত প্রেম কাহিনি গল্পের শেষ পার্ট আসতছে আগামীকাল দুপুর ১১.৫৫ মিনিটে
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url