এক তরুণের অসমাপ্ত প্রেম কাহিনি (পার্ট ৬ )

  আকাশ ছোয়া ভালোবাসা ( যারা পার্ট ৫ দেখেন নাই এখনো তারা দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন )



বিয়ের প্রস্তাব পাঠালো কেয়ার বাবা আমাদের বাসায় আসলো সব কিছু দেখে তার বাবা রাজি কিন্তু তার ভাই আর বোন রাজি নেই।
আমাদের ১৫ তারিখে কথা হয় আমরা দুই জন ঠিক আছি। ১৮ তারিখে তার বোন আমাকে ফোন দেয় আমার পিক চায় ইমুতে। তার ভাইও ফোন দিলো, তারপর আমি আমার পিক দিলাম। তারা সবাই আমার পিক দেখলো



এখন আমি ক্লাস টেনে পড়ি আর কেয়া অষ্টম শ্রেণিতে। আমাদের ২০ তারিখে কথা হয়, তারপর আর আমাদের কথা হয়না। ঈদের ২দিন আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম কিন্তু সে ফোন দিলনা, তাদের পরিবার থেকে কোন উত্তর আসছেনা। আমার মন অনেক খারাপ হয়েছিলো। আমি ঈদে বাসায় গেলাম না, ঈদ হলো ০২-০৫-২০২২ইং আমি ভাবলাম সে আমাকে ফোন দিবে আজকে বাট দেয়নি এরকম ভাবে ৩৬ দিন চলে গেল।



তারপর আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি ২৭-০৫-২০২২ইং আমি ঢাকাতে অনেক মেডিকেল গেলাম কেউ আমার কি হয়েছে এটা ধরতে পারলো না, হালকা করে মন বোঝানোর মত সবাই ঔষুধ দিলো, আমি ভালো হলাম না, আমি আমার আম্মাকে বললাম সব কিছু। আমার আম্মা কান্না করে দিলো। আমার আম্মা সবাইরে বলে দিলো আমার পরিবারের। ভাইয়া ভাবী সবাই আমারে ফোন দিলো, আমার আম্মা কান্না করতে করতে বলল, বাবা তোর পায়ে পড়ি তুই বাসায় চলে আয়, আমি তোকে হারাতে চাইনা, বাবা! আমি ০১-০৬-২০২২ইং বাসায় আসলাম ৬দিন লাগলো আমায় সুস্থ হতে, আমি কেয়ার সাথে কথা বলতে পাইনি আমার তার সাথে কথা বলার খুব ইচ্ছে করছে, আমি তার বান্ধবী সুমাইয়াকে ফোন দিলাম সুমাইয়া বলল, আমাদের পরীক্ষা চলছে, তুমি কালকে আসো সকালে আমি ০৭-০৬-২০২২ইং রহনপুর গেলাম কেয়ার সাথে দেখা করতে। আমি গেটের সামনে দাড়ালাম সুমাইয়া কেয়া কাউকে দেখলাম না ১০টা বেজে গেলো। পরীক্ষা শেষ হওয়ার অপেক্ষা করতে লাগলাম। ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম সবাই বারাই কিন্তু চিনো চেনা মুখ খানা বেরোই না। ১.৩০ টা বেজে গেলো সবাই চলে গেলো শেষের দিকে দেখতে পেলাম সুমাইয়াকে ঐ আমাকে দেখে আমার কাছে চলে আসলো এবং বলল, চলো হাটতে হাটতে কথা বলি।




সুমাইয়া বলল, আমি আজকে কেয়াকে দেখতে পাইনি, ঐ আগেই চলে গেছে। আমি বললাম আমি তো এখানে সকাল থেকে দাড়িয়ে আছি, সুমাইয়া বলল, হয়তো ভিড়ের মধ্যে তুমি তাকে দেখতে পাওনি। সে তোমাকে দেখছে, আমি হয়তবা। সুমাইয়া বলল কেয়ার ফোনটা আমাকে দিয়ে গেছিল কিছু দিন আগে। আনি নিয়ে এসেছি তোমাকে দিবো বলে। ও ফোনটা বের করে আমাকে দিলো এবং বলল, কেয়া আগের থেকে অনেক চেঞ্জ হয়ে গেছে। সুমাইয়া বলল, কালকে আসো সিওর দেখা হবে।



আমি আবারো ০৮-০৬-২০২২ইং রহনপুর গেলাম। আমি ব্রিজে দাড়িয়ে আছি হঠাৎ কেয়াকে দেখতে পেলাম আমার মনটা জড়িয়ে গেল, তাকে দেখে। সে আমাকে দেখে অবাক হয়ে গেল। আমি তাকে বললাম ৫মিনিট সময় দিবা? সে কোন কথা না বলে চলে গেল।

আমার অনেক খারাপ লাগলো, ভাবলাম এমন এক সময় ছিল, দুই জন দুই জনকে ছাড়া কিছুই বুঝতাম না, এক সময় আমার হাতে হাত রেখে কথা দিয়েছিল, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি তোমার সাথে থাকবো। এসব মনে পড়া মাত্রই আমার চোখ দিয়ে পানি চলে আসছে। নিজেকে কন্ট্রল করতে পারছিনা, তবুও মন খারাপ না করে পরীক্ষ শেষ হওয়ার অপেক্ষা করতে লাগলাম। ২টার পর সে বের হলো, আমি তাকে বললাম চলো সাইডে কথা আছে, সে আমাকে দেখে চলে গেল, আমার কথা শুনল না।



আপসোস আমি বাসায় চলে আসলাম। বাসায় আসার পর আমার ভাবী বলল, কি কেয়ার সাথে দেখা হলো? আমি বললাম না। আমি ভিষন ভাবে ভেঙ্গে পড়লাম, আমার কাউকে সহ্য হচ্ছে না। কিছুই ভালো লাগছেনা, আমার আম্মা আমার অবস্থা দেখে বলল, বাবা বউ দেখি বিয়ে করে নাও, কেয়াকে বিয়ে করতে হবে কে বলেছে।




আমার বাসার সবাই আমারে বুঝালো, বাট আমার কিছুই মাথায় ঢুকছে না। আমার কেয়ার প্রতি এক আকাশ পরিমান রাগ হলো, আমি বাসা থেকে জোর করে ১০-০৬-২০২২ইং ঢাকা চলে আসলাম ১২-০৬-০২০২২ইং কেয়া আমাকে ফোন দিলো, সে বলল, তার ভাই বিয়েতে রাজি হয়েছে, আমি বললাম দেখো কি হয়, যদিও তার উপর অনেক রাগ হয়েছিলো, তারপরও তার কথা মনে হলে চোখ দিয়ে পানি চলে আসতো, ২৪-০৬-২০২২ইং তারিখে রাত ১১টার সময় কেয়ার আব্বুর নম্বর থেকে ফোন আসলো রিসিভ করলাম, কেয়া বলল, ফোনটা ব্যাক করো, আমরা দুই জন প্রাই ৭০ মিনিট কথ বললাম, আমি তার উপর অযথা রাগ করেছি, সেদিন সে আমাকে এড়িয়ে গেছিলো কারণ



এক তরুণের অসমাপ্ত প্রেম কাহিনি গল্পের পার্ট ৭ আসতছে আগামীকাল দুপুর ১১.৫৫ মিনিটে

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url