এক তরুণের অসমাপ্ত প্রেম কাহিনি (পার্ট ৪ )

আকাশ ছোয়া ভালোবাসা ( যারা পার্ট ৩ দেখেন নাই এখনো তারা দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন )


রুমে ঢুকার সাথে সাথে দরজা লাগিয়ে দিলো, দরজা লাগানোর পর আমাকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরলো আমি লজ্জাতে তাকে বিছানাই ফেলে দিলাম এবং বললাম।


তুমি এটা কি করছো। তার মুখটা অনেক ভারী হয়ে গেলো। কেয়া বলল, আমি একটা সিনেমা দেখেছি সেখানে নায়ক-নায়িকা এমন করেছে, একথা শুনার পর আমি তাকে কাছে নিয়ে জড়িয়ে ধরলাম সে আমাকে চেপে ধরলো এবং আমাকে চেপে ধরতে বলল, এভাবে আমাদের কিছু সময় কাটলো দুপুরে খাবার সময় হলো, আমাদের ডাকলো খাবার খেতে খাবারের আইটেম দেখে আমরা অবাক এতো খাবার খাবো। খাবার খাওয়ার পর আমরা তিন জন আবার সেই রুমে চলে গেলাম। কিছুক্ষণ পর ভাবীরা আসলো। আমরা সবাই গল্প করছি, কেয়ার বন্ধবী সুমাইয়াকে তার দুলা ভাই ফোন দিয়েছে, সে চলে যাবে এমন টাইমে হঠাৎ টিপ টিপ বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে, কেয়া বলল, আমি যাবো না আমি করিম এর সাথে যাবো। তারা দুই জন কথা কাটা কাটি করতে লাগলো আমি বললাম চলে যাও আবার অন্য দিন আসবো। বৃষ্টি টিপ টিপ করে হচ্ছিলো, তাও তাড়া চলে গেলো।




আমিও ৪.০০ টার সময় চলে গেলাম, আমাদের প্রতিদিন কথা হয় দিন কাল ভালো যাচ্ছিলো, হঠাৎ একদিন বিকেল বেলায় আমাদের ঝগড়া হয়, আমি আসরের নামায পড়াছিলাম সে সময় সে আমাকে অনেক মেসেজ ফোন দিয়েছে। নামাযের কারণে ফোন রিসিভ করতে পারিনি, সে অনেক ভয় পেয়েছিলো, আমার নামায শেষে আমি তাকে ফোন দিলাম, সে বলল, দাড়াও একটু আমি ছাদে যাই। আমাদের কথা হলো রাগ ভাংগলো, খুব ভালো ভাবেই আমরা কথা বলছিলাম। হঠাৎ করে তার বোন আমাদের কথা বলতে দেখে নেই। কেয়ার কাছ থেকে ফোন নিয়ে নেয়। কেয়ার বাবা ফোন টিকে ভেংগে দেয় এবং তাকে অনেক মারে। কেয়ার ভাই আমাকে রাতে ফেনি দেয়, কেয়ার ভাই ছিলো পুলিশ।



আমাকে তার ভাই ভয় দেখানোর চেষ্টা করে এবং বলে তুমি আমার বোনের জীবন থেকে না গেলে তোমার জীবন নষ্ট করে দিবো। এগুলো কথা শুনার পর আমি অনেক ভয় পেয়ে যাই। আমি সাহস নিয়ে তার ভাইকে বললাম, ভাইয়া আপনার বোন যদি আমাকে ফোন না দেয় তাহলে আমি আর কখনো আপনার বোনকে ফোন দিবনা। একথা বলার পর কেয়ার ভাই আমার সাথে দেখা করতে চাইলো, আমি প্রথমে দেখা করতে রাজি হইনাই। কেয়ার ভাই বলল, আমি তোমার কোন ক্ষতি করবো না, তখন আমি রাজি হই। কারণ বসত দেখা করা হয়নি আমাদের। পরের দিন ক্লাস করে এসে শুয়ে আছি, হঠাৎ আমার ফোনে ফোন আসলো কেয়ার বাবার নম্বর থেকে। আমি ভয়ে ভয়ে ফোন রিসিভ করলাম ও পাশ থেকে কেয়ার কন্ঠ শুনতে পেলাম গতকাল যা যা হয়েছে সব বলল ২-৩ মিনিট কথা বলার পর কেয়া আমাকে বলল, আমাদের আর ঘন ঘন কথা হবেনা বলে ফোন কেটে দিলো




আমি অনেক ভেংগে পড়লাম আমার কিছুই ভালো লাগছেনা ক্লাসে মন বসাতে পারছিনা। কোথাও গিয়ে আমার মন স্থির করতে পারছিনা, এভাকে এক মাস পার হয়ে গেলো, কথা বলার তিব্র ইচ্ছে তবুও কথা বলতে পারছিনা। শুনলাম রহনপুরে একটা মেলা হবে, আমি আমার মামাতো বোন সব জানতো। মামাতো বোন আমরা ১-২ বছরের ছোট তাকে বললাম কেয়ার আব্বুকে ফোন দিবি? কেয়ার বান্ধবীর পরিচয় দিবি। তারপর কেয়া কলে আসলে আমার নাম বলবি দিয়ে আমাকে দিবি। আমার মামাতো বোন ভয়ে রাজি হয়না। আমার দিকে দেখে রাজি হলো, তার আব্বুকে ফোন দিলাম বিকেলে। মামাতো বোনকে দিয়ে দিলাম যেমন প্লান করেছিলাম সেভাবেই কাজ হলো, আমাদের কথা হওয়ার পর বললাম রহনপুরে মেলা আছে। ঐ দিন বিকেল বেলা দেখা করবো মেলায়। আর তোমার জন্য একটা ফোন কিনে নিয়ে যাবো, কেয়া বলল, সেই দিন সকালে তোমাকে ফোন দিবো।

সেই দিন সকাল হলো আমি তার ফোন এর অপেক্ষায়, দুপুরের সময় হয়ে গেলো তবুও ফোন দিলোনা ২টার সময় ফোন দিলো, তখন আকাশে অনেক মেঘ। কেয়া বলল, যে ৪টার সময় রহনপুরে উপস্থিত থাকবা।



বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে আমি বললাম কিভাবে যাবো। সে বলল, আমি জানিনা তবে তুমি আসবা। আমি ৪টার সময় রহনপুর চলে গেলাম কেয়াকে তার বাসা থেকে আসতে দিবে না বৃষ্টির কারণে। তবুও সে কান্না করে আসলো, এসো আমাকে দেখার পর তার মনটা ভালো হলো, দেরি হওয়ার কারণে মেলা যাওয়া হলো না, ওখানে একটা বেসরকারি কলেজ ছিলো, সেখানে সময় কাটালাম, মাগরীব হয়ে গেল, সে তার বাসায় চলে গেলো আমিও চলে আসলাম।



এভাবে আমাদের দিন অনেক ভালো কাটছিলো, আবার আমরা আগের মত কথা বলতে থাকি, আবার বৃহস্পতিবার দেখা করার কথা বলে। তার মা ক্যান্সারের রোগী যখন তখন মারা যেতে পারে তার মন খারাপ থাকলে আমাকে তার মন ভালো করে দিতে হবে। তারা ছিল দুই বোন এক ভাই। সে সবার ছোট



বৃহস্পতিবার দেখা করতে গেলাম তাকে দেখে আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল, সে মন খারাপ করে আছে তাই। আমরা রহনপুর এ. বি স্কুলের মাঠে এক কোনাই গাছের নিচে বসলাম, সে নিজ হাতে কিছু খাবার বানিয়ে নিয়ে এসেছিল, আর একটা আপেল আমাকে খাইয়ে দিলো।
তারপর আমার হাতের উপর হাত রেখে বলল, করিম................................................?


এক তরুণের অসমাপ্ত প্রেম কাহিনি গল্পের পার্ট ৫ আসতছে আগামীকাল দুপুর ১১.৫৫ মিনিটে

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url