এক তরুণের অসমাপ্ত প্রেম কাহিনি (পার্ট ৩)

আকাশ ছোয়া ভালোবাসা ( যারা পার্ট ২ দেখেন নাই এখনো তারা দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন )



আমরা রাবেয়া গার্লস স্কুলের সামনে যাওয়া মাত্র দেখতে পেলাম কেয়া দাড়িয়ে আছে।

কেয়া আমাকে দেখতে পেয়ে হাতের ইশারা করলো, আমরা দুইজন এক সাথে হলাম। কেয়া বলল, চলো ষ্টেশনের দিকে যাই। আমি বললাম চলো, আমরা দুইজন নদীর ধারে দাড়ালাম, ওখানে আমরা অনেক্ষন সময় কাটালাম।


তারপর আমরা রহনপুর এ.বি স্কুলের দিকে চলে গেলাম, কেয়া আমাকে প্রোপজ করলো, তার বাসায় সাদা গোলাপ ফুলের গাছ ছিল সেখান থেকে ফুল নিয়ে এসেছিলো, সেখানে একটা ছোট বাচ্চাকে দেখলাম। ঐ বাচ্চাকে ডেকে সে আমাকে প্রপোজ করলো, এবার কিছু পিক তুললাম, তারপর কেয়া আমাকে বলল, যে সে আইস্ক্রীম খাবে, আমি দোকানে গিয়ে দুইটা আইস্ক্রীম নিলাম ১০০ টাকা দিয়ে তারপর আমরা এ, বি স্কুলের মাঠে অনেক আনন্দ করলাম, তারপর কেয়া তার স্কুলে নিয়ে গেল আমাকে, তখন বাজে দুপুর ১২.০০ টা, তার স্কুলের বিতর কিছু স্যার ছিল। আমাদের দেখে স্যারগুলো আমাদের ডাকলো। তখন কেয়া আমাকে বলল যে, তুমি কোন কথা বলবেনা, চুপ করে থাকবা, আমি বললাম ওকে, তাকে আমার কথা জিগাইলো, সে বলল, এটা আমার মামাতো ভাই। এ কথা শুনে আমি মনে মনে হাসছিলাম। তারপর আমরা ওখান থেকে চলে আসলাম দুপুর হয়ে গেল, আমি তাকে তার বাসার দিকে আগিয়ে দিয়ে আসলাম, সেই দিন তাকে একটা ফোন আর সিম কিনে দিয়ে এসেছিলাম।


আমাদের প্রতিদিন রাত্রে কথা হতো। সে রাত্রে একাই ঘুমাইতো, রাত ৯টা বাজলে সে আমাকে ম্যাসেজ করতো প্রতিদিন। আমিও প্রতিদিন সে সময় তার জন্য অপেক্ষা করতাম। তার সিম আমি আমার ফোন থেকে কন্ট্রল করতাম, তাকে ম্যাসেজ কিনে দেওয়া সব আমি দিতাম।

তখন ম্যাসের দাম ছিলো। ১৭ টাকায় ৫০০ ম্যাসেজ আমাদের এভাবে অনেক আনন্দে দিন কাটছিলো। এভাবে দুই সপ্তাহ কেটে যায়। আমি তাকে বললাম সামনে বৃহস্পতিবার


আমার বড় ভাবীর বাসায় বেড়াতে যায় তুমি আর আমি কেয়া বলল ঠিক আছে। কেয়া আমাকে বলল, যে আমি কি পড়ে যাযো। আমি বললাম আমাদের প্রথম দেখা যে, পোষাক পড়ে ছিলো সেটা পড়ে যাবা। সে বলল ওকে। আমি ভাবীকে ফোন দিলাম সব কিছু বললাম, ভাবী বলল ঠিক আছে নিয়ে এসো। আমার ভাবী অনেক খুশি ছিলো। আমার ভাবীর বাসা রহনপুর কলেজ মোড় থেকে ১০ টাকা ভাড়া গ্রামের নাম বহিপাড়া আর কেয়ার বাসা রহনপুর কলনি।


বৃহস্পতিবার সকালে আমি রহনপুর গেলাম আমার যাইতে একটু দেরি হয়ে গেছিলো কেয়া রহনপুর কলনিতে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলো। সে আমাকে অনেক বার ফোন দিয়েছে। আমি গাড়িতে থাকার কারণে রিসিভ করতে পারিনি


আমি তার সামনে যাওয়ার পর দেখলাম তার বান্ধবী তার সাথে। সে আমার উপর অনেক রেগে আছে। আমি আসতে দেরি করেছি তাই। কেয়া আমার উপর বেশি রাগ করে থাকতে পারতোনা। তার রাগ ভাংগানোর পর বললাম, ম্যাডাম এবার যায় কেয়া বলল, হ্যাঁ মিস্টার চলো আমরা যাই। কেয়া মাঝে মাঝে দুষ্টামি করে আমাকে (এই যে মিস্টার) বলে ডাকতো আমরা তিন জন কলেজ মোড়ে নামার সময় আমার ফোনে ভাবীর ফোন আসলো। ভাবী বলল, আপসানাকে ফোন দাও ঐ কলেজ গেছে তাকে নিয়ে চলে আসো। আপসানা আমার ভাবীর ছোট বোন তখন সে ইন্টারে পড়াশোনা করে আমি আপসানা আপুকে ফোন দিলাম সে রহনপুর ইউসুফ আলী কলেজে পড়তো


আপু কলেজ মোড়ে চলে আসলো। আমরা চার জন চলে আসলাম ভাবীর বাসায়। আসার পর দেখলাম আমাদের জন্য খাবারের অনেক আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের হালকা করে নাস্তা দিলো। খাওয়া-দাওয়া করার পর কিছু সময় আমাদের নিয়ে গল্প করলো ভাবীর ভাবী, ভাবীর ছোট বোন, ভাবীর মা, বাবা সবাইরে দেখলাম সবাই অনেক খুশি আমাদের দুই জনকে নাকি অনেক মানিয়েছে। ১২ টার সময় কেয়া ভাবীকে চুপি চুপি কি বলল, তারপর ভাবী এক রুম দেখিয়ে দিলো, ঐ রুমে কেয়া আমার হাত ধরে নিয়ে চলে গেলো। যাওয়ার সময় তার বান্ধবীকে বলল, এখানে থাক আমরা একটু কথা বলে আসছি। রুমে ঢুকার সাথে সাথে দরজা লাগিয়ে দিলো, দরজা লাগানোর পর আমাকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরলো আমি লজ্জাতে তাকে বিছানাই ফেলে দিলাম এবং বললাম।


এক তরুণের অসমাপ্ত প্রেম কাহিনি গল্পের পার্ট ৪ আসতছে আগামীকাল দুপুর ১১.৫৫ মিনিটে


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url