এক তরুণের অসমাপ্ত প্রেম কাহিনি (পার্ট ২)
আকাশ ছোয়া ভালোবাসা ( যারা পার্ট ১ দেখেন নাই এখনো তারা দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন )
ঐ তার বাসায় চলে গেলো, আমিও আমার বাসায় চলে আসলাম।
আমি বাসায় এসে আমার ভাবীকে সব খুলে বললাম, আমার ভাবী বলল যে, ঐ মেয়ে তোমার সাথে ফাইজলামী করেছে। একথা শুনে আমার মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেলো, আমি কিন্তু তার কথা সব সময় ভাবছি, বিকেল হলো আমি আমার ম্যাসে চলে গেলাম, তবুও তার কথা আমার সব সময় মনে পড়ছে।
আমার রুমমেটদের এ সব কিছু বললাম, তখন তারা অনেক হসলো, আমার অনেক খারাপ লাগলো, একা একা শুয়ে ভাবছি যে, সে মেয়েকি আমার সাথে এসব হাসি মজা করলো, সে কি আমাকে ফোন দিবে, সারাদিন সারারাত কেটে গেলো সে আমাকে ফোন দিলোনা।
তার পরের দিন বিকেলে আসরের নামাজ পড়ে বাহিরে যাবো ঘুরতে এ জন্য রেডি হচ্ছিলাম। সে সময় আমার নাম্বরে ফোন আসলো, আমি ফোন রিসিভ করলাম সে কেটে দিলো, কিছুক্ষণ পর আবার ফোন দিলো রিসিভ করলাম আবার কেটে দিলো। আমি ব্যাক না করে ঘুরতে বেরিয়ে গেলাম। বাহিরে গিয়ে আমি ভাবলাম যে, কে সে যে আমাকে ফোন করলো। আমি ফোন ব্যাক করলাম, একটা মেয়ের কন্ঠ শুনতে পেলাম, আমি বললাম কে আপনি, ঐ পাশ থেকে উত্তর আসল যে, আমি ঐ মেয়ে যার সাথে আপনার ট্রেনে দেখা হয়েছিল, একথা শুনার পর আমি অনেক খুশি হয়ে গেলাম। আমি তার নাম জানতে চাইলাম, তার নাম বলল, কেয়া। আমরা অনেকক্ষণ কথা বললাম। তারপর সে ফোন কেটে দিলো। আমি আর ফোন দিলাম না।
আমি ভাবতে লাগলাম তার নাম কেয়া, আমার নাম করিম, মিল আছে, এটাকি আল্লাহর পক্ষ থেকে, এসব কিছু আমার মাথায় ঘুরছিল। আমার মন থামছেনা, আমি তাকে আবার ফোন দিলাম, তার বোন ফোন রিসিভ করলো, আমি অনেক ভয় পেয়ে ফোন কেটে দিলাম দিলাম। আমি ভেবে ছিলাম যে, তার কাছে ফোন আছে মনে হয়। রাত ৮টা বাজে, তখন আমার মন বলছে একটু তার সাথে কথা বলি, বাট ফোন দিলামনা, রাত ১০টার পর ফোন দিলাম আবার তার বোন ফোন রিভিস করল, তার সাথে অনেকক্ষণ কথা বললাম, আমাদের ব্যাপারে তার বোন সব জেনে গেল। কেয়া আমাকে তার বোনের ফোনে ইমুতে এ্যাড করেছিল, তার দুলাভাই সহ জেনে গেছিলো, তার দুলাভায়ের সাথেও কিছুক্ষণ কথা হলো।
এভাবে ৩-৪ দিন চলে গেল আমাদের কথা হয়না, হঠাৎ করে একদিন ক্লাসে গিয়ে ক্লাস ছুটির পর মানুষের নম্বর থেকে ফোন দেয়, আমরা দুইজন কিছুক্ষণ কথা বললাম। সে আমাকে তার সাথে দেখা করতে ডাকলো, তার একটা বান্ধবী ছিল, নাম সুমাইয়া" সে পাশ থেকে বলল যে, ভাইয়া আপনি যখন দেখা করতে আসবেন তখন কেয়ার জন্য একটা ফোন কিনে নিয়ে আসবেন। আমি বললাম ঠিক আছে নিয়ে আসবো।
আমার বৃহস্পতিবারের আগে ছুটি নাই। তার জন্য আমি কেয়াকে বললাম বৃহস্পতিবার দেখা করতে, সে বলল, ঠিক আছে।
আমি একা যাইতে ভয় পাচ্ছিলাম, তাই আরো দুইজনকে সাথে নিলাম আমরা তিন জন বৃহস্পতিবারের দিন রহনপুর চলে আসলাম। কেয়া তখন ক্লাস সেভেনে পড়াশুনা করতো। রহনপুর রাবেয়া গার্লস স্কুলে।
তার পর আমরা রাবেয়া গার্লস স্কুলের সামনে যাওয়া মাত্র দেখতে পেলাম কেয়া দাড়িয়ে আছে।
এক তরুণের অসমাপ্ত প্রেম কাহিনি গল্পের পার্ট ৩ আসতছে কাল দুপুর ১১.৫৫ মিনিটে
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url