এক তরুণের অসমাপ্ত প্রেম কাহিনি
আকাশ ছোয়া ভালোবাসা( এক ভাইয়ের জীবনী )
অপূর্ণ ভালোবাসা আবার আকাশ ছোয়া ভালোবাসা কিভাবে হয় তা গল্পের মধ্যে বুঝতে পারবেন ।
তাহলে গল্পটা শুরু করা যাক কি আছে এই দেখে আসি ।
পার্ট ১:
আমার নাম আব্দুল করিম। আমি এখন ক্লাস নাইনে পড়াশোনা করি। আমি রাজশাহী গিয়েছিলাম বন্ধুর বিয়ে খাইতে, রাজশাহী থেকে বাসায় যাবো ভাবছিলাম বাসে যাবো নাকি ট্রেনে যাবো? আমার বন্ধুরা বলল যে, রাজশাহী কোর্ট ষ্টেশন থেকে সকাল ৯.৩০ মিনিটে ট্রেন আছে। আমি ভাবছিলাম বাসে যাবো কিন্তু তাদের কথা শুনে ট্রেনে আসার ইচ্ছে হলো।
সকালে ঘুম থেকে উঠলাম ফ্রেশ হয়ে রাজশাহী কোর্ট ষ্টেশনের দিকে রওনা দিলাম। সেই দিনটি ছিলো- ২৮-০৮-২০২১ইং শনিবার। আমি রাজশাহী কোর্ট ষ্টেশনে ট্রেন আসার অপেক্ষা করছি। ট্রেন আসতে দেরি করছে তাই এক জায়গায় গিয়ে বসলাম।
আমার সামনে একটি মেয়ে দাড়িয়ে ছিলো, আমি তার দিকে তাকালাম, তার সাথে তার ভাবী, ছোট একটা বাচ্ছা এবং তার ভাইয়া ছিলো। মেয়েটি তার ভাইয়ের ফোনে সেলফি তুলছিলো। তা দেখে আমিও আমার একটা পিক তুললাম। আমি তাদের দিকে তাকাতে গিয়ে দেখলাম তার ভাবী আমার দিকে তাকিয়ে আছে, তারপর দেখলাম তার ভাই ঐ বাচ্চার জন্য কিছু খাবার নিয়ে আসলো।
আমি ফোন টিপতে লাগলাম। একা একা বোরিং হচ্ছিলাম, ট্রেন আসতে আজকে একটু বেশিই দেরি করছে। অতঃপর হঠাৎ দেখি সেই মেয়ের ভাই আমার সামনে। আমি মাথা উঠাতেই তার ভাই আমাকে বলল যে, ভাইয়া। আমার ওয়াইফের মাথা ঘুরাচ্ছে যায়গাটা একটু দেওয়া যাবে? আমি বললাম হ্যাঁ অবশ্যই, এটা বলে আমি ওখান থেকে উঠে চলে আসলাম। তারা সেখানে গিয়ে বসলো, আর আমি সামনের দিকে দাড়ালাম। কিছুক্ষণ পর ট্রেন চলে আসলো, আমি ভাবছিলাম কোন বগিতে উঠবো, তখনি দেখতে পেলাম তারা এক বগিতে উঠছে, আমিও তাদের সাথে ঐ বগিতে উঠে গেলাম, আমি দরজার সামনে বসলাম, আর তারা বগির মধ্যেখানে বসলো
এক ষ্টেশন যাওয়ার পর আমি তাদের পাসের সিটে গিয়ে বসলাম, আমি পিছনে তাকালাম তো মেয়েটার চোখে চোখ পড়লো। আমি জানালা দিয়ে মুখ বের করে আছি, সেই মেয়েটিও জানালা দিয়ে মুখ বের করে আছে। আমি যখন তার দিকে তাকাচ্ছি সেও আমার দিকে তাকাচ্ছে, বারবার করে আমাদের চোখে চোখ পড়ছে, আমি অনেকটাই নারভাস হয়ে গেছিলাম, আমার সামনে একটা ছেলে বসে ছিলো। তাকে আমার জায়গাতে আসতে বললাম এবং আমি তার জায়গায় চলে গেলাম।
তারপর আমরা দুই জন সামনা সামনি হয়ে গেলাম, আমিও ওর দিকে তাকিয়ে আছি, সেও আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তখন আমার ভালো লাগা অনুভব করছিলাম।
হঠাৎ করে সেই মেয়ে আমাকে চোখ মারলো, সাথে সাথে আমার শরীর ঘামে ভিজে গেল। আমি বুঝতেই পারছিলাম না যে, আমার সাথে এটা কি হলো, তারপর আমরা ইশারাতে কথা বলতে লাগলাম। তখন আমার ভিতরটা অনেক খুশি খুশি লাগছিল। তখন সময়টা ছিলো করোনার সময়, সবাই মাস্ক পড়া ছিলো, আমিও ছিলাম। সে আমাকে বলল, আমার মাস্ক খুলতে। সে আমার মুখ দেখবে তাই, আমি মাস্ক খুললাম, সে আমার মুখ দেখলো, আমি তার মুখ দেখলাম।
আমি তখন ভাবছিলাম যে, তাকে নম্বর দিবো কিভাবে? আমার সাইটের সিটে একটা আপু বসেছিলো, আমি মেয়েদের অনেক ভয় পেতাম তবুও সাহস করে সেই আপুটার কাছে গেলাম। গিয়ে সবকিছু খুলে বললাম, তারপর সে বলল যে, আমার অনেক ভয় করছে, আমি আপনার নম্বর তাকে দিতে পারবো না।
আমি তার কাছ থেকে চলে আসলাম, আমার ব্যাগ থেকে আমার ডাইরিটা বের করলাম, তারপর আমার নম্বরটা লিখলাম, রহনপুর আসতে আর মাত্র ২০-২৫ মিনিট সময় ছিলো, তাকে দেখলাম সে সাইটের সিটে চলে আসলো।
আমি তাকে বললাম, একটু জোরে জোরে যে, বেশি সময় নাই, যা করবা তাড়াতাড়ি করো। এমন করতে করতে রহনপুর চলে আসলাম। আমার মন বলছিলো, তাকে মনে হয় আর নম্বর দেওয়া হবে না। ট্রেন থামলো, মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেলো, এতো কিছু হওয়ার পর যদি পরে তার সাথে কথা না হয়, তাহলে কেমন হলো, এ সব ভাবছিলাম। সবাই ট্রেন থেকে নামছে, এমতাবস্থায় সে মেয়ে আমার হাত থেকে নম্বরটা নিয়ে লিলো, আমি অনেক আনন্দিত হলাম।
তার ভাই ভাবী সামনে হাটছে আমি আর সে মেয়ে এক সাথে তাদের পিছনে হাটছি, তারা কিন্তু আমাদের ব্যাপারে কিছুই জানেনা।
তারপর দেখলাম তার ভাবীর বাবা এসেছে তাদের রিসিভ করতে, তারপর তার ভাই বলল, ঐ মেয়েকে যে, তুই বাইক-এ চলে যা। আমরা রিক্সায় আসছি। আমি পাশে দাড়িয়ে থেকে সব দেখছিলাম এবং সে যাওয়ার সময় আমাকে টা টা দিয়ে গেলো। ও সময়টা ছিল, ২৮-০৮-২১ইং রোজ, শনিবার, সময়: সকাল ১১.৩০ মিনিট। ঐ তার বাসায় চলে গেলো, আমিও আমার বাসায় চলে আসলাম।
এক তরুণের অসমাপ্ত প্রেম কাহিনি গল্পের পার্ট ২ আসতছে আজ রাত 10.55মিনিটে
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url