ওজন বাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায়
ওজন বাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায়। আপনি কি রোগা পাতলা আপনাকে সবাই চিকন বলে বা
রোগা ছেলে বলে আর কারো কথা শুনতে হবে না। কারণ আজকের এই আর্টিকেলে কিভাবে ঘরোয়া
ভাবে আপনি নিজের ওজন বাড়াবেন। কিভাবে স্বাস্থ্যবান হবেন সম্পূর্ণ এই
আর্টিকেলে বিস্তারিত দেওয়া হবে। কিভাবে ওজন বাড়াবেন কি খাইলে আপনি
স্বাস্থ্যবান হবেন আরো ইত্যাদি।
এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে ওজন বাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায়গুলো নিয়ে
আলোচনা করব। তো আমার অনুরোধ আপনারা সবাই পুরো আর্টিকেলটি পড়বেন না হলে
সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারবেন না। তো চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
পোষ্ট সূচিপত্রঃওজন বাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায়
- ওজন বাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায়
- ওজন বাড়ানোর জন্য ডায়েট প্ল্যান
- রাতারাতি ২ পাউন্ড ওজন বাড়ানোর উপায়
- ৩ দিনে কি ১ কেজি ওজন বাড়ানো উপায়
- ওজন বাড়ানোর জন্য প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া
- ওজন বাড়ানোর জন্য ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া
- কোন কোন খাবার খেলে ওজন দ্রুত বাড়ে
- সকালে খালি পেটে কী খেলে ওজন বাড়ে
- কোন কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে
- সবচেয়ে বেশি ক্যালরি যুক্ত খাবার কোনটি
- ওজন বাড়ানোর জন্য ব্যায়াম করা
- শেষ কথা / ওজন বাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায়
ওজন বাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায়
ওজন বাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায়। ওজন কম হয় যেমন সমস্যা তেমনি
স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ওজন বাড়ানো অনেকের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক সময়
অনিয়ত খাবার মানুষের চাপ পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীর ঠিকমতো পুষ্টি গ্রহণ করতে
পারে না। তখন আমাদের শরীরের চেহারা বা ওজন কমে যায় স্বাস্থ্য কমে যায়। ওজন
বাড়ানোর জন্য প্রথমে দরকার সুষম ও ক্যালরিযুক্ত খাদ্য। যেমন, দূর ডিম কলা
বাদাম ইত্যাদি প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় খাবার খাওয়া এবং খাবারের পর হালকা
বিশ্রাম নেওয়া ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ঘরে বসেই ঘরোয়া ভাবে কিভাবে ওজন বাড়ানো যায়। এর আরেকটি কার্যকর উপায় হল
প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। যেমন ডিমের সাদা অংশ মাছ
মুরগির দুধ ইত্যাদি খাবার শরীরের পেসি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অনেকেই ভুলভাল
অসুস্থ কর খাবার কেউ ওজন বাড়াতে যান। যা শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকারক হতে পারে
তাই আমাদের সাবধান থাকা দরকার। তাই আমরা জাঙ্ক ফুড এর মত খাবার না খেয়ে
পায়েদের উপাদান যেমন মধু কলা খেজুর কি ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারি বা খাইতে
পারি । দিন অন্তত দুই থেকে তিনবার খাবার খাওয়া ত এবং খাবারের মাঝে ছোট খাটো
নাচতে রাখা উচিত।
আবার নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত হোম ওজন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে। হালকা ওজন তলাতে ব্যায়াম যোগব্যায়াম বা দৈনিক হাটা শরীরের ক্ষুধা
বাড়ায় এবং খাদ্য থেকে পুষ্টি শোষণ বাড়ায়। আবার রাতে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা
ঘুম শরীরের বেশি পূর্ণ গঠন ওজন বৃদ্ধি সহায়তা করে তাই আমাদের রাতে পর্যাপ্ত
ঘুমাইতে হবে। মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখা দরকার এবং প্রচুর পানি পান করা
ধূমপান বা মদ্যপান ফরিয়ার করা ওজন বৃদ্ধির জন্য জরুরী হতে পারে। নিয়মিত ও
ধৈর্য ধরে এগুলো ঘরোয়া উপায়ে স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বাড়ানো একদমই সম্ভব। তাই
ধৈর্য ধরে ঘরোয়া উপায়ে ওজন বাড়ানো সহজ।
ওজন বাড়ানোর জন্য ডায়েট প্ল্যান
ওজন বাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায়। স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়ানো মানে শুধু
বেশি খাওয়া নয় বরং সঠিক খাবার বেচে নেওয়া। আমি প্রথমেই প্রোটিন জাতীয় খাবার
যেমন ডিম দুধ মাছ মুরগি ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে বলতেছি। এগুলো
আমাদের শরীরের পিসি গঠন করতে সাহায্য করে। শরীরের শক্তি বাড়ায় পাশাপাশি
পর্যাপ্ত কার্বোহাইডিয়েট যেমন ভাত আলু ইত্যাদি খাওয়া জরুরি। প্রতিদিন আমাদের
জাগরণের চাহিদা চেয়ে ৫০০ ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করলে ধীরে ধীরে ওজন বাড়বে
আমাদের। আমাদের মনে রাখতে হবে নিয়মিত তিন বেলা খাবার পাশাপাশি দুই থেকে তিনবার
হালকা নাস্তা খাওয়া ওজন বৃদ্ধির জন্য অনেক কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
ওজন বাড়ানোর জন্য কার্যকার ডায়েট প্ল্যান এর মধ্যে হচ্ছে সকালের নাস্তা।
সকালের নাস্তা ওজন বাড়ানোর যাত্রা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। প্রোটিন
পিনাট বাটার টোস্ট কলা ডিম ইত্যাদি দিয়ে শুরু করতে হবে সকালের নাস্তা।
মাঝেমধ্যে ভাতের সঙ্গে ডাল মুরগি মাছ দুধ ইত্যাদি খান। আবার বিকালের দিকে কিছু
ফল খান এতে শরীরের অতিরিক্ত পুষ্টি যোগ হবে। রাতে খাওয়ার সময় হালকা খাবার
খাবেন যেমন খিচুড়ি ভাত মাছ চিকেন ইত্যাদি। আমি যেভাবে যেভাবে বললাম এভাবে
নিয়মিত কুষ্টিয়ার খাবার গ্রহণ করলে শরীয়ত চর্বি নয় বরং স্বাস্থ্যকর মাংস
বেশি গঠিত হবে।
আরেকটা কথা বলতেই ভুলে গেছি ডায়েটের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম ও নিয়মিত
ব্যায়াম ওজন বাড়ানোর মূল চাবিকাঠি বলে গণ্য করা হয়। প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে
আট ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। হালকা ওজন তোলা পূজা ইত্যাদি ব্যায়াম করলে খাবার থেকে
পাওয়া ক্যালরি বেশিতে রুপান্তরিত হয়। পানি পর্যাপ্ত পরিমাণ পান করুন কারণ
পানি হজম করাতে সাহায্য করে এবং পুষ্টি শোষণ বারায়। ধৈর্য ধরুন ওজন বাড়াতে
কিছু সময় লাগে তবে নিয়মিত মেনে চললে ভালো ফলাফল আসবে।
রাতারাতি ২ পাউন্ড ওজন বাড়ানোর উপায়
ওজন বাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায় গুলো দিয়ে রাতারাতির দুই পাউন্ড ওজন কিভাবে
বাড়াবেন। রাধারাদি দুই পাউন্ড ওজন বাড়ানো বাস্তবে মূল শরীরে পানি কার্বন
হাইড্রেট ও খাবারে পরিমাণে কারণ সম্ভব। এটি স্থায়ী নয় বরং অস্থায়ী ওজন
বৃদ্ধি যা সঠিক ডায়েট ও রুটিন এ ঘটানো যায়। দিন পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট
সমৃদ্ধ খাবার যেমন ভাত পাঁচটা আলো ইত্যাদি খান। এসব খাবার শরীরের গ্লাইকোজেন
জমাই জাপানি সঙ্গে মিলিত ওজন বাড়াতে সহায়তা করে। আবার দিনের মধ্যে ছয় থেকে
সাতবার খাবার গ্রহণ করুন। প্রতিবার কিছু না কিছু প্রোটিন রাখুন। রাতের খাবারে
পুষ্টি করব ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে সকালে ওজনের পার্থক্য বুঝতে পারবেন
আপনি যদি ওজন দ্রুত বাড়াতে তরল ক্যালরি যোগ করেন এটা বুদ্ধিমত্তার উপায়।
প্রোটিন দুধ কলা ইত্যাদি মিশিয়ে তৈরি পানিও পান করলে প্রবেশ করে। ঘুমাতে
যাওয়ার আগে এক গ্লাস ফল ফ্যাট দুধ কলা ইত্যাদি পান করা ওজন বৃদ্ধির
প্রক্রিয়া। এছাড়াও সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে ভুলবেন না কারণ পানি
আমাদের শরীরকে ডিহাইড্রেট করে ওজন কম দেখায় মনে রাখতে হবে। আপনারা সবাই মনে
রাখবেন একটা কথা রাতে খাবার ভারসাম্য রাখলে এবং পর্যাপ্ত ঘুমাইলে শরীর
স্বাভাবিক ও ওজন বাড়ানো সম্ভব
রাতারাতি ওজন বাড়ানোর জন্য শুধুমাত্র খাবার নয় বিশ্রাম ও ঘুমো গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরে হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখে এবং বেশি পূর্ণ
গঠন করে। ঘুমের আগে মুক্ত পরিবেশ তৈরি করুন কারণ মানসিক চাপ হরমোনের ভারসাম্য
নষ্ট করে দেয়। আবার আপনারা হালকা ব্যায়াম যেমন জগা ও স্ট্রেচিং রকেট সঞ্চালনে
উন্নত করে ও খাবার থেকে পুষ্টি শোষণ বাড়ায়। তবে আপনারা মনে রাখবেন এক রাতে
ওজন বিদ্যুৎ দীর্ঘমেয়াদী বা স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্য করা ওজন পেতে নিয়মিত
ব্যায়াম বজায় রাখা জরুরী আপনারা চাইলে একদিনে ওজন বৃদ্ধি করে স্থায়ী করে
রাখা সম্ভব না।
৩ দিনে কি ১ কেজি ওজন বাড়ানো উপায়
ওজন বাড়ানোর সহজ উপায় গুলোর মধ্যে আপনি কিভাবে তিন দিন এক কেজি ওজন বাড়াবেন
জেনে নিন। তিন দিনের মধ্যে এক কেজি ওজন বাড়ানোর লক্ষ্য মূলত অতিরিক্ত ক্যালরি
ও পানি জমানোর মাধ্যমে সম্ভব। প্রতিদিন ক্যালরি চাহিদা দেখে ৫০০ থেকে ৭০০
ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করলে শরীরের দ্রুত ওজন বাড়ায়। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে
হবে যেমন ডিম দই দুধ মাছ ইত্যাদি । পাশাপাশি ভাত রুটি আলু ইত্যাদি খাওয়া
জরুরী। আবার হালকা বাদাম বাটার চিজ ইত্যাদি হিসেবে রাখতে পারেন আপনারা। দিনের
মধ্যে পা থেকে ছয় বার নিয়মিত খাবার খাওয়া শরীরকে পর্যাপ্ত করে আরো বেশি খেতে
পারলে আপনাদের ওজন আরো বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু আমাদের উচিত নিয়মিত ভাবে
পর্যায়ক্রমে ওজন বাড়ানো । দিনে ওজন বাড়াতে গেলে শরীরের জন্য অসুস্থকর
হবে।
আবার ওজন দ্রুত বাড়াতে ঘুমো বিশ্রামও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আপনি যদি
প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমান তাহলে আপনার শরীরের হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখে।
খাবার থেকে পাওয়া গেল রে অবেশ দিতে রুপান্তরিত হতে সাহায্য করে। হালকা
ব্যায়াম করলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং পুষ্টির শোষণ বাড়ে। রাতের খাবার
কেনযুক্ত এবং পুষ্টিকর রাখলে তিন দিনের মধ্যে ওজন বৃদ্ধি করা সম্ভব। তবে এই
বৃদ্ধি মূলত অস্থায়ী তাই দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যকর ওজন পেতে নিয়মিত ও
ব্যায়াম বজায় রাখা জরুরি। আপনারা দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধি করতে
নিয়মিত ব্যায়াম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।
ওজন বাড়ানোর জন্য প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া
ওজন বাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায়।ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রোটিন একটি অপরিহার্য
উপাদান। প্রোটিন পেশী গঠনে সাহায্য করে এবং শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়। প্রতিদিন
ডিম, দুধ, মাছ ও মুরগি নিয়মিত খাওয়া উচিত। ভেজিটেরিয়ানদের জন্য ডাল, বাদাম ও
সোয়া প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। প্রতিটি খাবারের সঙ্গে প্রোটিনের পরিমাণ
সঠিকভাবে মিলিয়ে খেলে পেশী বৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত হয়। প্রোটিনযুক্ত খাবার
ওজন বাড়াতে সাহায্য করার পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখে। এছাড়াও হালকা
কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে প্রোটিন খেলে ক্যালরি শোষণ আরও কার্যকর হয়।
প্রোটিন গ্রহণের সঠিক সময় ওজন বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সকালে ডিম বা
দুধের মতো প্রোটিনসমৃদ্ধ নাস্তা খাওয়া উচিত। দিনের মধ্যে দুই বা তিনবার
প্রোটিনসমৃদ্ধ স্ন্যাকস যেমন বাদাম বা প্রোটিন বার খেলে শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালরি
ও পুষ্টি পৌঁছে। ব্যায়ামের পর প্রোটিন শেক খেলে পেশী পুনর্গঠন দ্রুত হয়। রাতে
ঘুমানোর আগে হালকা প্রোটিন গ্রহণ করলে শরীরের হরমোন ভারসাম্য বজায় থাকে।
নিয়মিত প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া ওজন বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে কার্যকর এবং
নিরাপদ উপায়।
ওজন বাড়ানোর জন্য ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া
ওজন বাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ক্যালরি
সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা। শরীরে ক্যালরি চাই যাচ্ছে বেশি ক্যালরি খেলে ধীরে ধীরে
ওজন বৃদ্ধি পায়। যেমন বাদাম পিনাট বাটার ক্যান্ডি ভাজা আরো ইত্যাদি জালারি
যুক্ত খাবারের উচ্চ বলা হয় আপনারা চাইলে তা খেতে পারেন। প্রতিদিন আপনারা
খাবারের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর কারণে শরীরে পুষ্টি ও শক্তি বলে থাকে এতে আপনার ওজন
বাড়ে। আবার হালকা স্ন্যাকস যেমন ড্রাই ফুড খেলে দিনে ক্যালরি বৃদ্ধি পায়। ওজন
বাড়ানোর জন্য শুধুমাত্র বেশি খাওয়া উচিত নয় বরং সঠিক ক্যালোরি যুক্ত খাবার
গ্রহণ করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ক্যালরি যুক্ত খাবার নিয়মিত খেলে শরীরে মেদ নয় বরং স্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধি
হয় । আপনারা সকালের নাস্তা ও রাতের খাবার এই ধরনের খাবার অন্তর্ভুক্ত করলে
দিনের ক্যালোরি চাহিদা সহজে পূর্ণ হবে। ব্যায়ামের সঙ্গে কেন যুক্ত খাবার গ্রহণ
করলে ক্যালোরি পেশীতে রূপান্তরিত হয়। আবার ঘুমের আগে আগে খাবার খেলে রাতে সময়
শরীরে প্রদত্ত পুষ্টি শোষণ হয়। তাই আমাদের নিয়মিত এই অভ্যাস বজায় রাখলে
স্বাভাবিকভাবে স্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধি করা সম্ভব।
কোন কোন খাবার খেলে ওজন দ্রুত বাড়ে
ওজন দ্রুত বাড়ানোর জন্য ক্যালরি ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া সবচেয়ে
কার্যকর। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম, দুধ, মাছ, মুরগি, চিজ ও দই অন্তর্ভুক্ত
করুন। এই খাবারগুলো শরীরে প্রোটিন সরবরাহ করে এবং পেশী গঠন বাড়ায়। পাশাপাশি
ভাত, আলু, রুটি, পাস্তা, ওটস ও কলার মতো কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার খেলে শক্তি
ও ক্যালরি দুটোই বৃদ্ধি পায়। বাদাম, পিনাট বাটার ও শুকনো ফল স্ন্যাকস হিসেবে
খেলে শরীর অতিরিক্ত ক্যালরি পায়। প্রতিদিন তিন বেলা খাবারের পাশাপাশি হালকা
স্ন্যাকস খাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। এই নিয়ম মেনে চললে খুব অল্প সময়েই
স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বৃদ্ধি সম্ভব।
সকালে খালি পেটে কী খেলে ওজন বাড়ে
আমাদের ওজন বাড়াতে হলে প্রথমত সকালের খাওয়ার ঠিক রাখতে হবে। সকালে খালি পেটে
সঠিক খাবার খাওয়া ওজন বাড়ানোর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ঘুম থেকে
উঠে শরীর সবচেয়ে বেশি পুষ্টি শোষণ করতে সব কম হয়। তাই এই সময় আমাদের
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার। যেমন দুধ গলা মধু বাদাম একসঙ্গে খেলে শরীরের
পদ্যাপ্ত ক্যালোরি ও শক্তি যোগ হয়। এছাড়াও আবার খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম
দুধের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এটি
শুধু ওজন বাড়ায় না শরীরের ভিতর থেকে শক্তিশালী ও করে তোলে তাই আমাদের
প্রতিদিন সকালে এই অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার।
খালি পেটে প্রোটিন সমৃদ্ধ ও ক্যালোযুক্ত খাবার খাওয়া বেশি বৃদ্ধি সহায়তা
করে। যেমন ডিম বাটার টোস্ট কলা দুধ ইত্যাদি। এসব খাবার শরীরের মেটাবলিজম
সক্রিয় করে এবং দীর্ঘক্ষন শক্তি বজায় রাখে। যারা যারা খুব দ্রুত ওজন বাড়াতে
যান তারা সকালে এক ক্লাস দুধ শেখ এবং প্রোটিন শেখ খেতে পারেন এতে অতিরিক্ত
ক্যালরি জমে শরীরের ওজন বাড়াতে শুরু করে। তবে সব সময় স্বার্থপর খাবার বেঁচে
নেওয়া উচিত যাতে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরও থাকে ফিট।
কোন কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে
ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভিটামিনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো
শরীরের বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে ও পুষ্টি শোষণ বাড়ায়। বিশেষ করে ভিটামিন
বি কমপ্লেক্স (B1, B2, B3, B6, ও B12) ক্ষুধা বাড়ায় এবং শরীরকে শক্তি জোগায়।
এই ভিটামিনগুলো দুধ, ডিম, মাছ, কলা ও সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে থাকে।
এছাড়াও ভিটামিন ডি হাড়ের গঠন ও পেশী বৃদ্ধিতে সাহায্য করে যা ওজন বৃদ্ধির
জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যের আলো থেকে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
সঠিক পরিমাণে এসব ভিটামিন গ্রহণ শরীরকে সক্রিয় ও পুষ্ট রাখে যা ওজন বাড়ানোর
প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
ভিটামিন এ, সি ও ই শরীরের কোষ পুনর্গঠন ও শক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখে। ভিটামিন এ দুধ, মাখন, ডিমের কুসুম ও গাজরে পাওয়া যায়, যা শরীরকে
শক্তিশালী করে। ভিটামিন সি হজমশক্তি বাড়ায় এবং খাওয়ার ইচ্ছা বৃদ্ধি করে, ফলে
মোট ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ বাড়ে। ভিটামিন ই কোষকে সুরক্ষা দেয় ও পেশী গঠনে
সহায়তা করে। এসব ভিটামিনের অভাব শরীরকে দুর্বল করে তোলে, তাই ওজন বাড়াতে
এগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখা জরুরি। সঠিক ভিটামিন গ্রহণ মানে শুধু ওজন
বৃদ্ধি নয়, বরং সার্বিকভাবে একটি সুস্থ জীবনধারা অর্জন।
সবচেয়ে বেশি ক্যালরি যুক্ত খাবার কোনটি
আমরা ওজন বাড়াতে চাই ঘরোয়া ভাবে কিন্তু জানিনা যে কোন খাবারে কেমন পুষ্টি
আছে বা কেমন ক্যালরি আছে। তো ওজন বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত শক্তি যোগ করার জন্য
দায়িত্ব খাবার অত্যন্ত কার্যকর। সবচেয়ে বেশি ক্যালরি পাওয়া যায় বাদাম বাটার
কি ডার্ক চকলেট ইত্যাদি। আমি যদি উদাহরণ দেই তাহলে এক চামচ বাটারে প্রায় 90
জালালি থাকে যার দ্রুত শরীরের শক্তি যোগায়। বাদাম ও কাজু বাদাম ও রয়েছে
প্রচুর প্রাকৃতিক ফ্যাট ও প্রোটিন যা ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। আবার
এছাড়াও রয়েছে ঘি মাখন ইত্যাদি খাবার যার শরীরের ক্যালোরির মাত্রা বাড়িয়ে
দেয়। এসব খাবার নিয়মিত পরিমান মত খেলে শরীর দ্রুত স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন
বাড়াতে পারে।
আরো রয়েছে দুধ ডিম ইত্যাদিযুক্ত খাবারের মধ্যে অন্যতম একটি খাবার। এগুলো
শরীরে প্রোটিন ফ্যাট ভিটামিন সরবরাহ করে। যা বেশি গঠন ও শক্তি ধরে রাখতে
সাহায্য করে। ভাত আলু ও পাস্তা ইত্যাদি এগুলোতো অতিরিক্ত ক্যালরি দেয় এবং
শরীরের শক্তি ব্যালেন্স বজায় রাখে। যারা আপনারা দ্রুত ওজন বাড়াতে চান তারা
দিনে পাঁচ থেকে ছয় বার অল্প অল্প করে এসব খাবার গ্রহণ করতে পারেন তাহলে
আপনাদের ওজন বৃদ্ধি পাবে। তবে ক্যালরিযুক্ত খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান ও
হালকা ব্যায়াম করা জরুরী যাতে শরীর ফ্যাট না জমে স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বৃদ্ধি
হয়।
ওজন বাড়ানোর জন্য ব্যায়াম করা
ওজন বাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে রয়েছে ব্যায়াম। অনেক মনে করেন
ব্যায়াম করলে ওজন কমে কিন্তু ছুটি ভাবে করলে ব্যায়াম ওজন বাড়াতেও সাহায্য
করে। নিয়মিত ট্রেনিং বা ওজন তোলার ব্যায়াম বেশি গঠনের সহায়তা করে। যা সরিয়ে
ভর বৃদ্ধি করে। বোস আপ স্কোয়াদ ডাম্বেল ফিল্ড ইত্যাদি মতো ব্যায়াম শরীরের
পেশীকে শক্তিশালী করে তোলে। এসব ব্যায়াম করলে খাবার খেতে পাওয়ার অতিরিক্ত
ক্যালরি ফ্যাটের না গিয়ে পেশীতে রূপান্তরিত হয়। ব্যায়াম শুরু আগে এবং পরে
পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে ফলাফল আরো দ্রুত আসে। তাই ওজন বাড়াতে নিয়মিত
নিরাপদ ও প্রাকৃতিক ঘরোয়া পদ্ধতি।
আমরা আবার ব্যাঙের পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম ওজন বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে
ত্বরান্বিত বলে। প্রত্যেকদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম শরীরে হরমোন ভারসাম্য
বজায় রাখে এবং বেশি পূর্ণাঙ্গ গঠনের সাহায্য করে। ব্যায়াম করার পর শরীরের
প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করলে বেশি দ্রুত পুনরুজ্জীবিত হবে। আবার
এছাড়াও ব্যায়ামের আগে পরে হাইড্রেশন বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরী। সপ্তাহে অন্তত
চার থেকে পাঁচ দিন নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর বেশি ওজন দুটাই বাড়ে। সঠিক
ডায়েট ও নিয়মিত ব্যায়াম একসঙ্গে ওজন বৃদ্ধি সবচেয়ে কার্যকর সমাধান। তাই
জন্য আমাদের নিয়মিত ক্যালরিযুক্ত খাবার এবং ব্যায়াম করা উচিত।
শেষ কথা / ওজন বাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায়
ওজন বাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায় এর সম্পর্কে উপরে আমরা বিস্তারিত আলোচনা
সম্পর্কে জেনেছি। তো আশা করি আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন। আর আপনারা যদি কেউ না
বুঝে থাকেন তাহলে ভালোভাবে আর্টিকেল টি পড়ে নিয়েন। ওজন বাড়ানো যেমন সহজ আবার
ওজন বেড়ে গেলে চাহিদার চেয়ে বেশি ওজন হয়ে গেলে আবার ওজন বাড়ানো তেমন কঠিন ।
তো আমরা আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ওজন বাড়াবো যা আমাদের শরীরের প্রয়োজন।
পরবর্তীতে জানো ওজন বেড়ে যায় আবার সমস্যা না হয়।
তো ওজন বাড়ানোর সব ঘরোয়া উপায় আর্টিকেলটি পরে আপনাদেরকে কেমন লাগলো বা মতামত
দেওয়ার থাকলে কমেন্ট করুন এবং ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার
করুন।
প্রতিদিন এরকম আর্টিকেল পেতে আমার সার্টিফিকেট করুন।ধন্যবাদ



আপনি নিবোর্ন সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url