অনিয়মিত পিরিয়ড হওয়ার কারণ কি
অনিয়মিত পিরিয়ড হওয়ার কারণ , জটিলতা এবং চিকিৎসা?
অনিয়মিত পিরিয়ড নারীদের একটি সাধারণ সমস্যা, যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর প্রধান কারণ হলো হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। বিশেষ করে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের ওঠানামা মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করে। অনেক সময় অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অনিয়মিত জীবনযাপন, ঘুমের অভাব বা অতিরিক্ত কাজের চাপও মাসিককে অনিয়মিত করতে পারে।
এছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়া বা হঠাৎ কমে যাওয়া, থাইরয়েডের সমস্যা, রক্তস্বল্পতা, ডায়াবেটিস কিংবা পিসিওএস (Polycystic Ovary Syndrome) এর মতো রোগও এ সমস্যার মূল কারণ হতে পারে।অতিরিক্ত ওষুধ সেবন, বিশেষ করে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা হরমোনের ওষুধ, মাসিকের সময়ে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই দীর্ঘদিন ধরে যদি পিরিয়ড অনিয়মিত থাকে, তবে তা অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এছাড়াও নিচে বিস্তারিত দওেয়া হলো:
পিরিয়ড কি?
পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব হলো নারীর প্রজনন প্রক্রিয়ার একটি স্বাভাবিক অংশ, যা সাধারণত প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে ঘটে থাকে। এই সময়ে জরায়ুর ভেতরের অতিরিক্ত আস্তরণ রক্ত ও অন্যান্য তরলের সাথে শরীর থেকে বের হয়ে আসে। মেয়েদের শরীরে ডিম্বাশয় থেকে প্রতি মাসে একটি করে ডিম্বাণু তৈরি হয়, কিন্তু তা নিষিক্ত না হলে গর্ভধারণ হয় না।
তখন শরীর সেই অপ্রয়োজনীয় আস্তরণ ঝরিয়ে দেয়, যেটিই পিরিয়ড নামে পরিচিত। সাধারণত ১১ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে মেয়েদের প্রথম পিরিয়ড শুরু হয় এবং ৪৫ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত এটি চলতে থাকে। পিরিয়ড নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো থাকার একটি স্বাভাবিক লক্ষণ, তবে অনেক সময় এর সাথে কোমর ও পেট ব্যথা, ক্লান্তি বা মানসিক অস্থিরতার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
অনিয়মিত পিরিয়ড কি?
নারীর জীবনে মাসিক একটি প্রাকৃতিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। সাধারণত প্রতি ২৮ দিন পরপর মাসিক হয়ে থাকে, তবে ২১ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে আসা পিরিয়ডকেও স্বাভাবিক ধরা হয়। কিন্তু মাসিক যদি কখনো ২১ দিনের আগেই চলে আসে বা ৩৫ দিনের বেশি দেরি হয়, আবার অনেক সময় এক মাস বাদ দিয়ে আসে কিংবা রক্তস্রাবের পরিমাণ খুব বেশি বা কম হয়—তাহলেই তাকে অনিয়মিত পিরিয়ড বলা হয়।
আরো পড়ুন:কবুতরের মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা
এটি একেবারে সাধারণ ঘটনা হলেও বারবার হলে এর পেছনে হরমোনের অসামঞ্জস্য, মানসিক চাপ, শারীরিক দুর্বলতা বা কোনো স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত থাকতে পারে। তাই অনিয়মিত পিরিয়ডকে অবহেলা না করে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণ
অনিয়মিত পিরিয়ড নারীদের মাঝে একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এর পেছনে বেশ কিছু কারণ কাজ করে। এগুলো জানা থাকলে সচেতন হওয়া সহজ হয়। নিচে অনিয়মিত পিরিয়ডের কিছু সাধারণ কারণ দেওয়া হলো –
১. হরমোনের অসামঞ্জস্য
শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধি ও মেনোপজের সময় এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
২. মানসিক চাপ
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, স্ট্রেস বা মানসিক অস্থিরতা হরমোনের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। এর ফলে মাসিকের তারিখ এগিয়ে বা পিছিয়ে যেতে পারে।
৩. খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা
অস্বাস্থ্যকর খাবার, অনিয়মিত ঘুম, অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড বা শরীরচর্চার অভাব পিরিয়ডের স্বাভাবিক চক্র নষ্ট করতে পারে।
৪. ওজনের তারতম্য
হঠাৎ বেশি মোটা হওয়া বা অল্প সময়ে অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়াও মাসিকের অনিয়মিত হওয়ার অন্যতম কারণ।
৫. পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম থাকা নারীদের ক্ষেত্রে ডিম্বাণু পরিপক্ক হতে সমস্যা হয়, যা অনিয়মিত মাসিকের বড় একটি কারণ।
৬. থাইরয়েড সমস্যা
থাইরয়েড হরমোনের অসামঞ্জস্য পিরিয়ডের সময়কাল ও রক্তস্রাবের পরিমাণে প্রভাব ফেলে।
৭. ওষুধের প্রভাব
কিছু বিশেষ ওষুধ যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, হরমোন থেরাপি বা মানসিক রোগের ওষুধ মাসিকের তারতম্য ঘটাতে পারে।
৮. অন্যান্য শারীরিক সমস্যা
অ্যানিমিয়া, দীর্ঘস্থায়ী অসুখ, ডায়াবেটিস বা হঠাৎ অসুস্থতা হলেও মাসিকের চক্রে পরিবর্তন আসতে পারে।
অনিয়মিত পিরিয়ড হওয়ার জটিলতা
অনিয়মিত পিরিয়ড শুধু মাসিকের তারিখে পরিবর্তন আনে না, এটি নারীর সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্যও নানা ধরনের জটিলতার কারণ হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলতে থাকলে নিচের জটিলতাগুলো দেখা দিতে পারে –
১. গর্ভধারণে সমস্যা
ডিম্বাণু সঠিক সময়ে পরিপক্ক না হলে গর্ভধারণের সুযোগ কমে যায়। অনিয়মিত পিরিয়ড বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
২. অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ
কখনও কখনও মাসিক অনিয়মিত হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়, যা শরীরে আয়রনের ঘাটতি তৈরি করে এবং অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
৩. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
নিয়মিত মাসিক না হলে হরমোনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। এতে শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন: ব্রণ, অতিরিক্ত লোম গজানো, মুড পরিবর্তন ইত্যাদি।
৪. মানসিক অস্থিরতা
বারবার মাসিকের তারিখ পরিবর্তন হলে দুশ্চিন্তা, বিরক্তি ও মানসিক চাপ বেড়ে যায়, যা দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে।
৫. দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি
অনিয়মিত মাসিক অনেক সময় পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS), থাইরয়েড সমস্যা বা অন্যান্য হরমোনজনিত রোগের লক্ষণ হতে পারে। এগুলো দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ায়।
৬. জীবনযাত্রার ব্যাঘাত
হঠাৎ মাসিক শুরু হওয়া বা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে শিক্ষাজীবন, কর্মক্ষেত্র কিংবা সামাজিক জীবনে অস্বস্তি ও অসুবিধা তৈরি হয়।
অনিয়মিত পিরিয়ড হলে কী কী চিকিৎসা নিতে হবে?
১. ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া
প্রথমেই গাইনোকলজিস্ট বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। প্রয়োজন হলে ডাক্তার আল্ট্রাসাউন্ড, রক্ত পরীক্ষা বা হরমোন টেস্ট করতে বলতে পারেন।
২. হরমোন থেরাপি
যদি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থাকে তবে চিকিৎসক হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি বা ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন। এতে মাসিকের চক্র নিয়মিত হয়।
৩. জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল
কিছু ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে। তবে এটি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যবহার করা উচিত।
৪. জীবনযাত্রার পরিবর্তন
ওজন নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্যগ্রহণ এবং মানসিক চাপ কমানো হলো প্রাথমিক চিকিৎসার অন্যতম অংশ।
৫. ভেষজ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা
কিছু ভেষজ যেমন আদা, দারুচিনি, হলুদ বা গ্রিন টি হরমোনের কার্যক্রমকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তবে এগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত সেবন করা ঠিক নয়।
৬. অন্যান্য রোগের চিকিৎসা
থাইরয়েড সমস্যা, PCOS, অ্যানিমিয়া বা ডায়াবেটিস থাকলে সেগুলোর চিকিৎসা করাতে হবে। এগুলো নিয়ন্ত্রণে না থাকলে মাসিক স্বাভাবিকভাবে চলবে না।
নিয়মিত পিরিয়ড হওয়ার জন্য কী কী করতে হবে?
নারীর সুস্থ জীবনের জন্য নিয়মিত মাসিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনিয়মিত পিরিয়ড শুধু অস্বস্তির কারণ নয়, এটি ভবিষ্যতে নানা শারীরিক সমস্যারও জন্ম দিতে পারে। তবে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুললে সহজেই মাসিক নিয়মিত রাখা সম্ভব। নিচে এর কিছু উপায় দেওয়া হলো –
১. সুষম খাদ্য গ্রহণ
শাকসবজি, ফলমূল, প্রোটিন ও দুধজাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়া উচিত। ভাজা-পোড়া ও জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চললে শরীরের হরমোন ভারসাম্য ঠিক থাকে।
২. নিয়মিত ব্যায়াম
হালকা ব্যায়াম, যোগব্যায়াম বা হাঁটার অভ্যাস শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং মাসিকের চক্রকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
৩. মানসিক চাপ কমানো
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা স্ট্রেস হরমোনে প্রভাব ফেলে। তাই মেডিটেশন, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়া জরুরি।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
অতিরিক্ত মোটা বা খুব বেশি রোগা হওয়া – দুটোই মাসিকের অনিয়মের কারণ হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
৫. পর্যাপ্ত পানি পান
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান শরীরের টক্সিন দূর করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে, যা মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে।
৬. ওষুধ সেবনে সতর্কতা
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল বা হরমোনজাত ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করলে মাসিকের চক্র নষ্ট হতে পারে। তাই যেকোনো ওষুধ গ্রহণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
৭. চিকিৎসকের পরামর্শ
যদি দীর্ঘদিন ধরে মাসিক অনিয়মিত থাকে তবে দেরি না করে গাইনোকলজিস্টের কাছে যাওয়া উচিত। এতে সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব।
পিরিয়ডে কী খাবেন, কী খাবেন না?
পিরিয়ডে কী সময় খাবেন?
১. আয়রনসমৃদ্ধ খাবার – পালং শাক, কলিজা, ডিম, ডাল, বাদাম।
২. তাজা ফলমূল – ডালিম, কমলা, কলা, আপেল ও তরমুজ শরীরকে হাইড্রেট রাখে।
৩. শাকসবজি – গাজর, ব্রোকলি, বিটরুট, লাউ শরীরে ভিটামিন ও মিনারেল সরবরাহ করে।
৪. প্রোটিন – ডিম, মাছ, মুরগি ও দুধ শরীরের শক্তি বজায় রাখে।
5. ডার্ক চকলেট – সামান্য পরিমাণ ডার্ক চকলেট খেলে মুড ভালো হয় ও ব্যথা কমে।
6. ভেষজ চা – আদা চা, গ্রিন টি বা পুদিনা চা পেটের ব্যথা ও ফাঁপা ভাব কমায়।
7. পানি ও তরল খাবার – পর্যাপ্ত পানি, ফলের জুস, ডাবের পানি ও স্যুপ শরীর হাইড্রেট রাখে।
পিরিয়ডে কী সময় খাবেন না?
১. জাঙ্ক ফুড – বার্গার, পিজা, চিপস ইত্যাদি শরীরে চর্বি জমায় এবং হজমে সমস্যা করে।
২. অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার – এতে শরীরে পানি জমে ফোলাভাব বাড়তে পারে।
৩. ক্যাফেইন (চা, কফি, কোলা) – অতিরিক্ত ক্যাফেইন পেটের অস্বস্তি ও বিরক্তি বাড়ায়।
৪. ঝাল ও চর্বিযুক্ত খাবার – এগুলো হজমে সমস্যা করে ও পেট ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৫. অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার – হরমোনের ভারসাম্যে প্রভাব ফেলে এবং দুর্বলতা বাড়াতে পারে।
পিরিয়ড কেয়ার টিপস
পিরিয়ড বা মাসিক একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও এ সময় অনেক মেয়ের শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন ও অস্বস্তি দেখা দেয়। কারও পেট ব্যথা হয়, কারও মাথা ঘোরা বা দুর্বলতা আসে, আবার অনেকেই মানসিকভাবে অস্থির বোধ করেন। এই সময় সুস্থ থাকতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে। স্যানিটারি ন্যাপকিন বা মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করলে তা সময়মতো পরিবর্তন করতে হবে, যাতে কোনো সংক্রমণ না হয়। নিয়মিত গোসল করা ও শরীর পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি।
মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় অনেকের মেজাজ খিটখিটে হয় বা স্ট্রেস বেড়ে যায়। তাই বই পড়া, সঙ্গীত শোনা বা মেডিটেশন করলে মানসিক চাপ কমে। যদি ব্যথা বা রক্তক্ষরণ অস্বাভাবিকভাবে বেশি হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
উপসংহার
পিরিয়ড বা মাসিক হল নারীর জীবনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যদিও এই সময় শরীরে দুর্বলতা, ব্যথা বা মানসিক অস্থিরতা দেখা দেয়, সঠিক যত্ন ও অভ্যাসের মাধ্যমে এগুলো অনেকাংশে কমানো সম্ভব। নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান করা, হালকা ব্যায়াম করা এবং মানসিক প্রশান্তি রক্ষা করা হলো সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি। এছাড়াও, যদি কোনো সমস্যা বা অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সংক্ষেপে, পিরিয়ডের সময় নিজের যত্ন নেওয়া শুধু শরীরকে সুস্থ রাখে না, মনকেও শান্ত ও স্বস্তিদায়ক রাখে। এই সহজ কিন্তু কার্যকর অভ্যাসগুলো মেনে চললে মাসিককালকে আরও সহজ ও আরামদায়ক করা সম্ভব।
আমার মতামত
আমার মতে, পিরিয়ড বা মাসিকের সময় নারীর শরীর ও মানসিক অবস্থার প্রতি যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় আমরা এ সময়কে অস্বস্তিকর মনে করি, কিন্তু সঠিক পরিচর্যা এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চললে এটি অনেক সহজ এবং আরামদায়ক করা সম্ভব। নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা, সুষম খাবার, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এছাড়া, যদি কোনো সমস্যা বা অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দেয়, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই জরুরি।
আপনি নিবোর্ন সাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url