হ্যাকারদের থেকে কিভাবে সাবধান এবং নিজের প্রাইভেসি ও সিকিউরিটি সুরক্ষিত রাখবেন

ইন্টারনেট আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। আজকাল আমরা অনলাইনে ব্যাংকিং করি, কেনাকাটা করি, সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ রাখি এমনকি চাকরি বা ব্যবসার বড় অংশও অনলাইনে নির্ভরশীল। কিন্তু এই সুবিধার পাশাপাশি সবচেয়ে বড় হুমকি হলো হ্যাকারদের আক্রমণ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তার ঝুঁকি।

• ফিশিং (Phishing) – ভুয়া ইমেইল বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড চুরি করা।
• ম্যালওয়ার (Malware) – ক্ষতিকর সফটওয়্যার ইনস্টল করিয়ে তথ্য চুরি।
• কি-লগার (Keylogger) – কিবোর্ডে টাইপ করা প্রতিটি শব্দ রেকর্ড করা।
• ডাটা ব্রিচ – ওয়েবসাইট বা সার্ভার হ্যাক করে তথ্য ফাঁস করা।
• সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং – ভুয়া পরিচয় বা মানসিক প্রভাব ব্যবহার করে তথ্য বের করা।

আমাদের অনেকেরই অসচেতনতা বা অভ্যাস হ্যাকিংয়ের মূল কারণ। যেমন সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার, একই পাসওয়ার্ড সবখানে ব্যবহার করা, সন্দেহজনক ওয়েবসাইটে ক্লিক করা, বা সামাজিক মাধ্যমে অতিরিক্ত তথ্য শেয়ার করা।

 হ্যাকারদের থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায়

১২–১৬ অক্ষরের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন, যেখানে ছোট-বড় অক্ষর, সংখ্যা ও বিশেষ চিহ্ন থাকবে।

২. দুই ধাপের সিকিউরিটি (2FA) চালু করুন

ফোনে আসা OTP বা অথেনটিকেটর অ্যাপ ছাড়া প্রবেশ অসম্ভব।

পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করলে অবশ্যই ভিপিএন চালু রাখুন।

পুরনো সফটওয়্যারের দুর্বলতাকে হ্যাকাররা ব্যবহার করে আক্রমণ চালায়।

বিশ্বস্ত অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন এবং ফায়ারওয়াল চালু রাখুন।

 প্রাইভেসি রক্ষার টিপস

• ডাটা এনক্রিপশন ব্যবহার করুন।
• পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করুন (LastPass, Bitwarden, 1Password)।
• পাবলিক ওয়াই-ফাই এড়িয়ে চলুন।
• ব্রাউজার হিস্ট্রি ও ক্যাশ ক্লিয়ার করুন।

স্মার্টফোন সিকিউরিটি টিপস

• মোবাইল সবসময় পিন বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে লক করুন।
• অচেনা অ্যাপ ইনস্টল করবেন না।
• লোকেশন শেয়ারিং অফ রাখুন।
• নিয়মিত ব্যাকআপ নিন।

• সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
• ফিনান্সিয়াল অ্যালার্ট চালু রাখুন।
• প্রতি ৩ মাসে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
• “HaveIBeenPwned” দিয়ে চেক করুন ডাটা লিক হয়েছে কি না।

 হ্যাকারদের সাধারণ টার্গেট

ফেসবুক, ইমেইল, ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট, ই-কমার্স ও গেমিং একাউন্ট সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে।